বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। ইতিমধ্যেই ৪২টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। বুধবার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। আসন্ন লোকসভা ভোটে একাধিক নতুন মুখকে টিকিট দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে যেমন তমলুকের (Tamluk) মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই তমলুকেই জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল (TMC)।
তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পদুমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ছিল। মোট ১২টি আসনে লড়াইয়ে নেমেছিল তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম। পদুমপুর, ধূর্পা, ঘোড়াঠাকুরিয়া, পোলন্দা এবং রাজগোদা এই সমবার সমিতির অন্তর্গত। ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫৪৫ জন। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ১২টি আসনের মধ্যে ৮টিতে জয়ী হয়েছে পদ্ম-শিবির (BJP)।
তৃণমূল জিতেছে মাত্র ৪টি আসন। অর্থাৎ জোড়াফুল শিবিরের চেয়ে দ্বিগুণ আসনে জয়ী হয়েছে পদ্ম-শিবির। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে এই জয় বিজেপির আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে, মত কর্মী-সমর্থকদের। এই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তম বারিক বলেন, ভোটের আগে এমনটা হওয়া একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।
আরও পড়ুনঃ AIIMS থেকে রেল প্রকল্প! তমলুকে জিততে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেবাংশুর
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেন তিনি। আভ্যন্তরীণ কোনও সমস্যা আছে কিনা সেটা দেখতে হবে বলেও জানান উত্তমবাবু। পাশাপাশি এটাও স্বীকার করে নেন যে, সমবায় সমিতির ভোটের সঙ্গে লোকসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এই ভোটকেও ভোটের মতোই দেখা উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপির জয়ী হওয়ায় স্বভাবতই খুশি দলের কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, গোটা রাজ্যে তৃণমূল (Trinamool Congress) যে অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিণামস্বরূপ আমজনতা জোড়াফুল শিবিরের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপির এই জয় তারই প্রমাণ বলে দাবি করেন তিনি।
এখানেই না থেমে প্রদীপবাবু বলেন, লোকসভা নির্বাচনেও তমলুক থেকে প্রায় ৩ লাখ ভোটে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থী। উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্রে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তবে বিজেপি এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, কলকাতা হাই কোর্টের সদ্য প্রাক্তন জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দাঁড় করানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তমলুকে গিয়ে পুজোও দিয়েছেন তিনি।