বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় (west bengal) ভোট পরবর্তী হিংসার আগুন এখনও থামেনি। স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার হওয়া এক ভাইরাল ভিডিও (viral video) আবারও তা প্রমাণ করে দিল। বিজেপি করার অপরাধে, উত্তর দিনাজপুরের (uttar dinajpur) চোপড়ায় বেশ কয়েকজনকে গাছে বেঁধে মারধর করে কান ধরে ওঠবসও করাল তৃণমূল সমর্থিতরা।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে গোটা বাংলা জুড়ে যেভাবে সন্ত্রাসের আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল, তা এখনও থামেনি। তা আবারও জ্বলে উঠল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। বিজেপি করার অপরাধে চরম হেনস্থার শিকার হলেন এলাকার বেশ কয়েকজন। যদিও এবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়া থানার বাক্সাবাড়ি এলাকায়। এই এলাকারই একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী হলেন রহিমুদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি করার অপরাধে রহিমুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। কোনক্রমে তাঁর প্রাণ বেঁচে গেলেও, মান বাঁচে না তাঁর।
TMC goons are kidnapping, tying up, beating up, and extorting people, just because they support BJP.
Despite numerous FIRs, WB police is doing nothing. pic.twitter.com/BveQIMVPEl
— Raju Bista (@RajuBistaBJP) June 5, 2021
সবার সামনেই কান ধরে ওঠবস করিয়ে, সেইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ভবিষ্যতে আর বিজেপি করবেন না, এরকম মুচলেকা পত্র দিতে হয় তাঁকে। এসবের পরও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। রহিমুদ্দিন এবং তাঁর সঙ্গী কয়েকজনকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধরও করা হয় এবং তাদেরও কান ধরে ওঠবস করানো হয়।
স্যোশাল মিডিয়ায় সেই দৃশ্যের ভিডিও শেয়ার হতেই মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ওঠে নিন্দার ঝড়। বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন জানিয়েছেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। এই যুবকদের উপর অত্যাচারের পরবর্তীতে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। এখন তাঁদের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে’।
অন্যদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা উপ-প্রধানের প্রতিনিধি মহম্মদ হানিফ জানান, ‘মাঠ থেকে গরু নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই এই ঝামেলা হয় এবং তা পরে মিটেও যায়। তাছাড়া রহিমুদ্দিন তৃণমূল পরিবারের ছেলে। বিজেপি চক্রান্ত করে এই মিথ্যা ঘটনা রটাচ্ছে’।