‘ভুয়ো’ চ্যাট ঘিরে সরগরম রাজনীতি, সঠিক তদন্ত না হলে ধর্নার হুঁশিয়ারি বিজেপি কর্মীদের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘিরে সরগরম পুরুলিয়ার (purulia) রাজনীতি। তৃণমূলের (tmc) অভিযোগ, নোংরা রাজনীতি করতে এমন ফন্দি এঁটেছে বিজেপি (bjp)। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, গেরুয়া শিবিরকে বদনাম করতে এসমস্ত করছে তৃণমূল।

সম্প্রতি পুরুলিয়ায় বিজেপির কোর কমিটির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাট ভাইরাল হয় স্যোশাল মিডিয়ায়। যে চ্যাটের মূল বিষয় হল- ইয়াস মোকাবিলার ত্রাণ শিবিরে ঘর পাওয়ার লোভ দেখিয়ে বেশি করে লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা বলছে বিজেপি। যার ফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে, তৃণমূল সরকার চাপে পড়বে। তবে সেই ভাইরাল চ্যাটের সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট।

193154037 1480858845579536 5419057470893215359 n

ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা যায়- বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী লেখেন, ‘সব থেকে ভালো হবে, বেশি করে লোক স্কুলগুলিতে ঢুকিয়ে দাও। আর সবাইকে বলে দাও, যে সবাই ঘর পাবে। যত বেশি লোক একসাথে থাকবে, করোনা হবে আর সরকার ফাসবে। প্রত্যেকটি অঞ্চলে খবর দিয়ে দাও’।

এই ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপ, রঘুনাথপুর থানায় দুই বিধায়ক সহ মোট ছয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা রঘুনাথপুরের তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউরি।

c85f0 tmc bjp

তৃণমূলের করা অভিযোগের পাল্টা অভিযোগ করে পুলিশের দারস্থ হয় বিজেপি শিবির। তাঁদের দাবী এই চ্যাট সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ভাইরাল চ্যাটের সত্যতা প্রমাণিত না হলে, তাঁরা রাস্তায় ধর্নায় বসবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, ‘বিজেপির কোর কমিটি নামে আমাদের কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নেই। ইচ্ছে করে কেউ এসমস্ত করছে। কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভিডিও কলের অপশন না থাকলেও, এখানে ছিল। পুলিশকে বলব এই জঘন্য রাজনীতির তদন্ত হোক’।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ছিঃ বিজেপি! আমি নিশ্চিত এই চ্যাট সত্য। তবে পুলিশকে এটা তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে। এর সত্যতা প্রমাণিত হলে, দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হোক’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর