বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর পাঁচটা দিনের মতো আজও যথারীতি কাজ চলছিল হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুর (Serampore) থানার পেয়ারাপুর এলাকার দিল্লী রোডে স্টিল কারখানায়। হঠাৎই শোনা গেলো একটি বিস্ফোরণের শব্দ। কেঁপে উঠলো প্রায় গোটা কারখানা। তখন মাত্র সকাল সাড়ে দশটা। এই ঘটনার জেরেই অবিলম্বে মৃত্যু হলো কারখানায় কর্মরত দুই শ্রমিকের এবং আহত হন আরও তিনজন।
তাঁদের মধ্যে থেকে দুজনকে ভর্তি করানো হয়েছে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে এবং আরও একজন যিনি চিলেন তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার হাসপাতালে। মৃত শ্রমিকদের পরিবার সহ এই সকল আহত শ্রমিক এবং কারখানার যাঁরা আরও অন্যান্য শ্রমিক আছেন, তাঁদের সকলের দাবী একটাই যে এতো বড় ঘটনা ঘটে গেলো তার দায় কারখানাকেই নিতে হবে এবং শ্রমিকদের উপযুক্ত আর্থিক সাহায্যও করতে হবে বিশেষত নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে।
এই ঘটনার ফলে এলাকা জুড়ে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সমস্ত বাসিন্দা জড়ো হয়ে ছিলেন কারখানার এলাকায়। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন শ্রমিকদের অবস্থা খুবই খারাপ, বিক্ষিপ্ত ভাবে তাঁরা এদিকে ওদিকে পড়ে আছেন। এলাকার বাসিন্দারাই শ্রমিকদের ধরাধরি করে হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যান। চিকিৎসকরাও নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ শুরু করে দেন।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও দুজন শ্রমিককে বাঁচাতে সক্ষম হননি তাঁরা। যে দুই শ্রমিকদের মৃত্যু হয়, তাঁরা হলেন গুঁইরাম দলুই এবং পঙ্কজ দাস। এবং যে তিনজন শ্রমিকরা বেঁচে আছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা খুবই সংকটজনক। এই কারখানায় শ্রমিকদের গ্যাস দিয়ে লোহার ছাঁট কাটার কাজ করতে হয়।
এর ফলেই মাঝে মধ্যেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। নিহত এবং আহত শ্রমিকদের পরিবারকে যথাযোগ্য অর্থ সাহায্য যাতে প্রদান করা হয়, এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কারখানার অন্যান্য শ্রমিকরা এবং এই নিয়ে তাঁরা অশান্তিও করেছেন। এই বিক্ষোভের জেরে এলাকায় হাজির হন পুলিশ। তবে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পুলিশ তাঁদের শান্ত করেছেন।