বড়সড় উদ্যোগ সরকারের! এই জেলায় তৈরি হল অভিনব নীল রাস্তা, বৈশিষ্ট্য জানলে চমকে উঠবেন

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক বছরে কলকাতা শহরের এক অন্যতম পরিচয় হয়ে গেছে নীল-সাদা রং। রাস্তার ধারের রেলিং থেকে শুরু করে ব্রিজ, বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি সেজেছে নীল-সাদা রঙে। যদিও এই নিয়ে বিতর্কও হয়েছে প্রচুর। এবার রাস্তার রংও পাল্টে গেল নীল-সাদায়। গরমকালে সাধারণ মানুষের যাদের অসুবিধা না হয় সেইদিকে খেয়াল রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বড় উদ্যোগ নিল।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার নীল রাস্তা তৈরি করেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) সবুজ কৃষিজমির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া দক্ষিণ দামোদর অঞ্চলের লাল মাটির উপর। এই রাস্তার ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলা হয়েছে যা শুনলে অনেকেই অবাক হয়ে যাবেন। এই নীল রাস্তার পরিবর্তনের ফলে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।

আরোও পড়ুন : মহাকাশে মানবমিশনের পথে আরোও একধাপ এগোল ভারত! বড়সড় ঘোষণা ISRO’র

বিশেষ করে গরমকালে এই নীল রাস্তা সহায়ক হবে। ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, এই নীল রাস্তা কিছুটা হলেও প্রতিফলিত করবে তাপকে। ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, এই জাতীয় নীল রাস্তা তৈরি হয়েছে দুবাই থেকে হস্তান্তরিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এই ধরনের প্রযুক্তি হস্তান্তর করেছেন অল ইন্ডিয়া রোডস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা।

আরোও পড়ুন : রাস্তার নিরিখে বেঁধে দেওয়া হবে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা! বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমুন্ত্রীর

রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার রায়না ২ ব্লকের উচালান পঞ্চায়েতে জনসাধারণের জন্য গত বছর এই রাস্তার উদ্বোধন করেন। অ-পচনশীল প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করে এই রাস্তা তৈরি হয়েছে। এই রাস্তা কিছুটা হলেও তাপ নির্গমন হ্রাস করে। এর ফলে রোদের তাপ থেকে কিছুটা হলেও পথচারীরা রক্ষা পাবেন।

২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর এই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই রাস্তা তৈরি শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। এই রাস্তা রাতের অন্ধকারেও জ্বলজ্বল করবে। ফলে অন্ধকারে চলাচল করতে সুবিধা হবে মানুষের। এই রাস্তা তৈরি করতে সরকার খরচ করেছে ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৫৭.৯৬ টাকা।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

X