বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বিতর্কিত জুটিদের মধ্যে অন্যতম শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের ভালোবাসার উদযাপন করতে কখনই পিছপা হন না তাঁরা। গতকালই প্রাক্তন স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে বৈশাখীর। এই বিচ্ছেদের পর শোভনের বক্তব্য ‘এতবছর পর সত্যিকারের মুক্তির স্বাদ পেল বৈশাখী।’
স্বভাবতই বৈশাখীর আইনি বিবাহ বিচ্ছেদ যে এই যুগলের কাছে একটি বড়সড় সুসংবাদ তা বলাই বাহুল্য। আর এই বিচ্ছেদের পরই রাতে বাড়ি ফিরে একের পর এক পারিবারিক ছবি পোস্ট করতে দেখা গেল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মেয়ে মেহুল এবং শোভনের সঙ্গে একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী মনোজিতের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের জন্য লড়ছিলেন বৈশাখী। মনোজিৎ অন্য সম্পর্কে আবদ্ধ, সেই অভিযোগ এনে আদালতে বিচ্ছেদের মামলা করেন শোভন-বান্ধবী। বুধবারই ছিল সেই মামলার শেষ শুনানি। সেই শুনানি শেষে দুজনের মিউচুয়াল ডিভোর্সে রায় দেয় আদালত।
এরপরই নিজেদের একাধিক ছবি নেট মাধ্যমে শেয়ার করেন বৈশাখী। সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘অতীতের কান্না আর দীর্ঘশ্বাস এখন শুধুই স্মৃতি। ভালোবাসাই চিরন্তন। আর বিদায় জানানোর কিছুই নেই।’
এই বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন বৈশাখীর অবসাদের কথাও জানিয়েছেন শোভন। নিজের দায়িত্ববোধ নিয়েও যে তিনি সম্পুর্ণ সচেতন তাও জানিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।শোভন আরও বলেন, ‘এই প্রথম মুক্তির স্বাদ পেতে দেখলাম বৈশাখীকে। আমিই এই মুক্তিরই অপেক্ষা করছি। যেখানে বুক দেখাই সেখানে পিঠ দেখাই না, চার বছর পর আবারও বলছি একই কথা।’
উল্লেখ্য, আদালত বৈশাখী কন্যা মেহুলের জন্য মনোজিতের থেকে খরচ নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু শোভন জানান, নিজের সীমিত সামর্থেই মেহুল এবং বৈশাখীর সমস্ত দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তিনি। প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে অর্থ নিতে অস্বীকার করেছেন বৈশাখীও।