বাংলা হান্ট ডেস্ক : 14 ই জুন দুপুরবেলা মুম্বাইয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন সফল বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তার মৃত্যুর পরে তোলপাড় হয়ে যায় গোটা দেশ। তার মৃত্যুর পরেই জল ঘোলা হতে শুরু করে। বেরিয়ে আসে বলিউডের ঝাঁ-চকচকে জগতের পেছনের আসল কাহিনী।
ইতিমধ্যে সুশান্তর মৃত্যুর জন্য সালমান খান, করন জোহার, এক্তা কাপুর প্রমুখ সেলিব্রিটির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দাবি উঠেছে বলিউড বয়কট করার। মুম্বাই পুলিশের তরফে জানানো হয়, ফাইনাল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ‘অন্য কোনও কারণে নয়, গলায় ফাঁস লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তর’।
সুশান্তের মৃত্যুর পরেই বলিউডের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে সকলের চোখের সামনে। কিভাবে নেপোটিজম ও স্বজনপোষণ নীতি অনুসরণ করে সুশান্তর মতো প্রতিভাবান অভিনেতা কে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলিউড। বলিউডের নেপোটিজম নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে খোদ বলিউডের তাবড় তাবড় তারকারা।
আগামী 24 শে জুলাই ডিজিটাল প্লাটফর্ম ডিজনি হটস্টারে মুক্তি পেতে চলেছে মুকেশ ছাবরা পরিচালিত সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’। সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ সিনেমা দিল বেচারা ওটিপি প্ল্যাটফর্ম হটস্টার ও আমাজনে লঞ্চ করার প্রস্তাব দেন প্রযোজকরা। এরপরই ফের গর্জে উঠে দর্শকেরা।তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় নেট দুনিয়া।
প্রসঙ্গত, সুশান্তর মৃত্যুর পরই বলিউডের নেপোটিজম ও স্বজনপোষণ নীতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ওঠে গোটা দেশ। নেটিজেন মহলের দাবি, একজন উজ্জ্বল অভিনেতা কে দিনের পর দিন এই ভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলিউডের নেপোটিজম নীতি। তার মৃত্যুর পরেও তার শেষ ছবি দিল বেচারা মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না বড় পর্দায়। রুপোলি পর্দার আড়ালে এমন অন্যায় যদি বারংবার হতে থাকে সে ক্ষেত্রে আর কিছুতেই ‘ নীরব দর্শকের ‘ ভূমিকা পালন করবে না দর্শক। গোটা বলিউড বয়কট করে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে দর্শক যেমন চাইলে কোন মানুষকে স্টার বানাতে পারে আবার দর্শকেরাই পারে তাদের নিচে নামিয়ে আনতে।
সুশান্ত এর মৃত্যুর পরই সোশ্যাল মাধ্যমে জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় নেপোটিজম ও স্বজনপোষণ নীতি মেনে চলা স্টার কিডস্, প্রযোজকদের। তারপরেই সোনম কাপুর, কারিনা কাপুর, সোনাক্ষী সিনহা সহএকাধিক স্টার কিডস নিজেদের সোশ্যাল একাউন্ট ডিএক্টিভেট অথবা কমেন্ট বক্স ডিজেবেল করে দেন। সুশান্ত ভক্তদের দাবি, মুখে স্বীকার না করলেও যাদেরকে এতদিন তারা ‘নীরব দর্শক’ ভেবে এসেছেন সেই দর্শককেই রীতিমতো ভয় পাচ্ছে বলিউড। আর সে কারণেই তারা ডিএক্টিভেট করতে বাধ্য হচ্ছে গণমাধ্যম।