বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাড়িতে খানাতল্লাশির পর আটক করা হলো অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই তাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা (CBI)। নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টের অফিসে। শোনা যাচ্ছে, কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর নামের সম্পত্তিগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এরপর তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, কী পদক্ষেপ করবে সিবিআই, তা এখনও জানা যায় নি। তবে এই আটক প্রসঙ্গে মুখ খোলেন নি সিবিআই আধিকারিকরাও।
প্রসঙ্গত, বুধবার খুব ভোরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অনুব্রতর গ্রামে ঢোকে সিবিআই-এর টিম। গ্রামের একাধিক বাড়িতেই গিয়েছেন গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালিয়েছিলেন গ্রামের তিন-চার জনের বাড়িতেও। জানা যাচ্ছে, বিশ্বজ্যোতি নামে ওই কাউন্সিলর অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। অনুব্রতর কাজের দেখাশোনার দায়িত্ব অনেকটাই তাঁর উপর ছিল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কেষ্টর বাড়িতেই থাকতেন দিনের বেশিরভাগ সময়।
আজ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কাউন্সিলরের বাড়ি ঘিরে ফেলে ভিতরে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি ও জেরা। তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর যে ১৭ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টও। অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের টাকা ওই কাউন্সিলরের নামে রাখতেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবার বিশ্বজ্যোতির কাছ থেকেই গরু পাচার সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এদিন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও ২ জনের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তাঁর মধ্যে একজন পুরকর্মী সুমিত রায়। এর পাশাপাশি অনুব্রতর অ্যাকাউন্টট্যান্ট মনীশ কোঠারির বাড়িতেও পৌঁছে গেছে সিবিআই-এর টিম। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জেরা পর্ব। তদন্তকারীদের অনুমান, বোলপুরের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতাদের জেরা করা হলেই প্রকাশ্যে আসবে বহু অজানা তথ্য, যা গরু পাচার মামলার তদন্তে সহযোগিতা করবে বলেই করছে সিবিআই আধিকারিকরা।