বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) পূর্বে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার (Coochbehar)। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) এক বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই লোডশেডিং। তারপরই রাতভর চলল বোমাবাজির। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের কাশিয়াবাড়ি এলাকায়। বোমাবাজির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, বুধবার রাতে কোচবিহারে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের এক বৈঠককে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা সামনে আসে। সেখানের পানিশালা অঞ্চলের কাশিয়ার বাড়ি পানিশালার চর পঞ্চম প্রাথমিক বিদ্যালয় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বৈঠক ছিল। সেইমতই সেখানে জড়ো হন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন সময় হঠাৎ করে এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় তারপরেই রাতভর চলে ভয়াবহ বোমাবাজি।
বোমাবাজির খবর পাওয়া মাত্র তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ১৩ জনকে। সূত্রের খবর, ধৃত সকলেই এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। অভিযোগ, এদিন শাসকদলের বৈঠক চলাকালীন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। পাল্টা তাঁদের দাবি, বিজেপির আশ্রিত গুন্ডারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ভয়াবহ এই ঘটনায় কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ খোকন মিঞার দাবি, “সমস্ত বিষয়টা আমরা দলীয় স্তরে খোঁজ নিচ্ছি। এটা বিজেপি চক্রান্ত করে করছে। এটা একটা ভুল।” পাল্টা বিজেপি জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল আজকের নয়। যুব-মাদারের সংঘর্ষ-ঝামেলা নতুন নয়। আর দায় চাপায় বিজেপির ঘাড়ে। তাই ওঁরা কী বলল আমরা মনে করি না।”