বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। দুদিনের রাজনৈতিক কেরিয়ারকে বিদায় জানিয়ে অভিনয়ের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। বেশিদিন সেদিকে মন দিতে পারলেন না তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে ঘন ঘন এখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে। গত বৃহস্পতিবারের পর আবার মঙ্গলবার বনিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ইডি তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়েই বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন বনি।
ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বনির সঙ্গে টাকার লেনদেনের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে গত বৃহস্পতিবার। সেদিনই প্রথম ইডির তলব পেয়ে দফতরে হাজিরা দেন বনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কুন্তলের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে একটি গাড়ি কিনেছিলেন তিনি। সম্প্রতি শোনা যায়, ইডির তদন্তকারীরা সন্দেহ করছিলেন যে বনির বিদেশযাত্রার সঙ্গেও কুন্তলের আর্থিকভাবে যোগাযোগ ছিল।
এই একাধিক প্রশ্নের উত্তর চেয়ে মঙ্গলবার ফের বনিকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। দুপুর প্রায় আড়াইটে নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডির দফতরের বাইরে বেরোতেই অভিনেতাকে ঘিরে ধরে সংবাদ মাধ্যম। তিনি স্পষ্ট বলেন, তাঁর কাছে যা যা নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল সবই তিনি জমা দিয়েছেন। এবার যা বলার তারাই বলবেন। তবে তিনি আশা করছেন, তাঁকে আর হেনস্থা করা হবে না।
সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, বনির বিদেশযাত্রার জন্যও টাকা দিতেন কুন্তল। জানা গিয়েছে, একাধিক বার বিদেশে গিয়েছিলেন অভিনেতা। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া গিয়েছেন তিনি একাধিক বার। তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল, বনির এই ঘন ঘন বিদেশযাত্রার জন্য টাকা যোগাতেন কুন্তল।
কিন্তু এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে হঠাৎই পালটি খেয়ে বনি বলেন, ‘ওই সব টাকা আমার দাদা। আর কারোর না’। বিদেশও তিনি নিজের টাকাতেই গিয়েছেন বলে দাবি করেন অভিনেতা। তবে তাঁকে আর ডেকে পাঠানো হবে কিনা তা জানা যায়নি।