বাংলাহান্ট ডেস্ক: বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta), সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে ঘুরপাক খাচ্ছে এই একটাই নাম। যারা তাঁকে চিনতেন না, নিয়োগ দুর্নীতির দৌলতে তারাও চিনে গিয়েছেন পিয়া সেনগুপ্ত এবং অনুপ সেনগুপ্ত পুত্র বনিকে। তবে এছাড়াও আরো এক পরিচয় রয়েছে তাঁর। টলিপাড়ার স্টারকিড বলা চলে বনিকে। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা তথা পরিচালক সুখেন দাসের (Sukhen Das) নাতি তিনি।
আশি নব্বইয়ের দশকের নামী অভিনেতা ছিলেন সুখেন দাস। শুধু অভিনয় না, বহু হিট ছবির পরিচালকও ছিলেন তিনি। বাবার দেখানো পথে হেঁটে সিনেমায় এসেছিলেন মেয়ে পিয়া সেনগুপ্তও। যদিও সাফল্য না পাওয়ায় বেশিদিন অভিনয়ে থাকেননি তিনি। পরবর্তীকালে নিজের সহ অভিনেতা অনুপ সেনগুপ্তর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন সুখেন দাস। তাঁদের একমাত্র সন্তান বনি, যিনি এখন পা রেখেছেন অভিনয়ে।
তবে নাতি স্বচ্ছল জীবনযাপন করলেও দাদুর জীবনটা কিন্তু এত সহজ ছিল না। বাবা মা দুজনকেই হারিয়েছিলেন সুখেন দাস। অনাথাশ্রমে মানুষ হয়েছেন। ছোটবেলায় সুখের মুখ দেখেনইনি। পড়াশোনাও চালাতে পারেননি বেশিদূর। শেষমেষ অনাথাশ্রম থেকে পালিয়ে এক চিকিৎসকের কাছে গিয়ে উঠেছিলেন তিনি।
ছোট থেকেই টালিগঞ্জে যাতায়াত ছিল তাঁর। একদিন পড়ে যান পরিচালক দেবনারায়ণ গুপ্তর নজরে। শুরু হয় সুখেন দাসের জীবনের এক নতুন অধ্যায়। ‘দাসীপুত্র’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে প্রথম অভিনয় সুখেন দাসের। থামেননি আর। তাঁর অভিনয় প্রতিভা দ্রুত নজর কেড়ে নিয়েছিল দর্শকদের।
অনাথ ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায়, পরিশ্রম করে নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করেছিলেন চলচ্চিত্র জগতে। ছোট থেকেই দেখেছেন প্রবল অর্থকষ্ট। নিজের পরিস্থিতিতে পড়তে দেননি সন্তানদের। ২০০৪ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুখেন দাস। আর ২০১৪ সালে প্রথম অভিনয়ে ডেবিউ করেন নাতি বনি। অভিনেতা হিসাবে তেমন নাম করতে না পারলেও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি।