ভারত দেশকে ভগবান রামচন্দ্র পর্যন্ত মা হিসেবে পূজা করেছিলেন। সেই হিসেবে কাউকে ভারতবর্ষের পিতা তথা রাষ্ট্রের পিতা আখ্যা দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা বার বার এ ধরনের ভুল করার পরিচয় দিয়েছে। আগে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে দেশের পিতা বলে আখ্যা দিয়েছিল। আর এখন রাজীব গান্ধীকে আধুনিক ভারতের জনক হিসেব আখ্যা দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে। সেখানে কংগ্রেস সরকার পাঠ্যপুস্তকে রাজীব গান্ধীকে আধুনিক ভারতের পিতা হিসেবে পড়ানোর সিধান্ত নিয়েছে। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস ছাত্রদের রাজীব গান্ধী সম্পর্কে পড়াচ্ছে সেটা ঠিক আছে কিন্তু শুধুমাত্র রাজীব গান্ধীর ব্যাপারেই কেন? আরো অন্যান্য মহাপুরুষ দের ব্যাপারে কেন পড়ানো হচ্ছে না?
কংগ্রেস শুধু রাজীব গান্ধীর ব্যাপারে পড়িয়ে, একটা পরিবারের সদস্যদের হাইলাইট করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রাজনীতি অব্দি ঠিক আছে কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থাকেও এই সবের মধ্যে টেনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। রাজস্থান সরকার সিলেবাসে রাজীব গান্ধীর প্রশংসায় লেখা নিবন্ধগুলি শেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজীব গান্ধীকে ভারতের ইতিহাসের মধ্যে ‘আধুনিক ভারতের জনক’ হিসাবে শেখানো হবে।
রাজীব গান্ধী সম্পর্কে আরো কী শেখানো হবে সে বিষয়েও সরকার আলোচনা সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার এর জন্য কিছু লোককে নির্বাচন করবে, যারা রাজীব গান্ধীর উপর একটি নিবন্ধ লিখবেন। এগুলি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর সহজ অর্থ হল কংগ্রেস সরকার নিজের পছন্দের ঐতিহাসিক এবং তার পছন্দের একাডেমিক বিশেষজ্ঞদের নির্বাচিত করবে যারা কংগ্রেস পার্টির কার্যসূচির আওতায় রাজীব গান্ধীর বিষয়ে একটি অধ্যায় প্রস্তুত করবেন।