বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ নতুন ঘটনা নয়, তবে সাম্প্রতিক বছরের পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিএসএফের (Border Security Force) পূর্ব কমান্ডের সর্বশেষ বার্ষিক তথ্য বলছে, গত এক বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অবৈধভাবে পেরোনোর চেষ্টা করার সময় মোট ১০,২৬৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। সীমান্তে নজরদারি জোরদার এবং বাড়তি সংখ্যায় জওয়ান মোতায়েনের ফলেই এই বিশাল সংখ্যার অনুপ্রবেশকারীদের ধরা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে তৎপর বিএসএফ (Border Security Force):
বিএসএফ (Border Security Force) জানায়, গত বছর বিশেষ করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেড়ে গিয়েছিল। সে সময় তখ্তাপলটের পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষ ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। তবে পূর্ব কমান্ডের জওয়ানরা দিন-রাত এক করে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালিয়ে সেই সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, এই বাড়তি কঠোরতা এবং পেশাদারি মনোভাবই বৃহৎ অনুপ্রবেশের ঢেউকে প্রতিহত করেছে।
আরও পড়ুন:ঝাড়খণ্ডে বসে জালিয়াতির ছক, বাংলায় পুলিশ নিয়োগে জালিয়াতির কাণ্ডে ধৃত ১৭
কর্তৃপক্ষ জানায়, সীমান্ত অঞ্চলে স্থলভাগে বাড়তি ডিপ্লয়মেন্টের পাশাপাশি আধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করায় নজরদারির দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতেও জওয়ানরা ঠান্ডা মাথায় দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নজিরবিহীন পেশাদারি দেখিয়েছেন। এ বছর বিএসএফ (Border Security Force) ইস্টার্ন কমান্ড প্রতিষ্ঠার ৬১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমস্ত জওয়ান ও তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং সীমান্ত সুরক্ষায় আরও নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার নেন।
বার্ষিক পর্যালোচনা রিপোর্টে বিএসএফ (Border Security Force) পূর্ব কমান্ড সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি গত বছরের বড়সড় বিভিন্ন পাচারকারী জিনিসের তথ্যও প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৭৬.৫২ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য, ১৭০.৫৭ কোটি টাকার বিভিন্ন নিষিদ্ধ সামগ্রী, এবং ৬৭.৪২ কোটি টাকার ৫১.৩৮৯ কেজি সোনা। এসবই পাচার চক্রের বিরুদ্ধে বিএসএফের শক্তিশালী অবস্থানের প্রমাণ বলে জানিয়েছে বাহিনী।

আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ! শিক্ষাকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নিল SSC
বিএসএফের (Border Security Force) দাবি, সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা, দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত নজরদারির জন্যই পূর্ব কমান্ড গত বছরে শুধু অনুপ্রবেশ প্রতিরোধেই নয়, বহু পাচার চক্রকেও নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছে। সীমান্তের উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে জওয়ানদের এই কাজ দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল।












