Ekchokho.com 🇮🇳

বিয়ের চাপে “অতিষ্ঠ”, প্রেমিকাকে খুন যুবকের! পুলিশ “অ্যাকশন” নিতেই যা হল…..

Published on:

Published on:

Uttar Pradesh 22 year old college student’s body found in dhaba police arrests boyfriend

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিয়ের জন্য চাপ ও টাকার দাবি সহ্য করতে না পেরে প্রেমিক খুন করেছে প্রেমিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীতে। নিহত তরুণীর নাম অলকা বিন্দ (২২)। পুলিশ জানিয়েছে, গলা কাটা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয় একটি ধাবার ঘর থেকে। এই ঘটনায় অলকার প্রেমিক সাহাব বিন্দকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত মির্জাপুরের বাসিন্দা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বারাণসীর (Varanasi) মির্জামুরাদ এলাকার রূপাপুরে।

বারবার বিয়ে করতে বলায় উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) প্রেমিকাকে খুন যুবকের

সূত্রের খবর, একটি ধাবার ঘর থেকে কম্বলে মোড়া অবস্থায় বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় অলকা বিন্দের দেহ। বুধবার সকালে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন অলকা, তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। তাঁর পরিবার রাতেই নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। সাহাবের সঙ্গে অলকার সম্পর্ক ছিল ২০২৪ সাল থেকে। তাদের এক বিয়েতে পরিচয়ের হয়। সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের শুরু। তবে কিছুদিন ধরে অলকা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন পাশাপাশি টাকার দাবি করতেন বলে অভিযোগ করেছেন সাহাব নিজেই। বুধবার তিনি অলকাকে ডেকে আনেন ধাবার একটি ঘরে এবং সেখানেই নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করেন। ধাবার এক কর্মচারী ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেহটি প্রথম দেখতে পান। এই ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে সাহাবের নাম নিশ্চিত করে। ধৃতকে পরে ভাদোহির এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এমনকি, মির্জাপুরের বাসিন্দা ধৃত যুবক এনকাউন্টারে জখম হয়েছেন। এই বিষয়ে বারাণসী পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) আকাশ পটেল বলেন, ‘‘বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ অলকা কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি। রাতে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সেই রাতেই ধাবার ঘরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তদন্তে নেমে মৃতার প্রেমিক সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মৃতার ফোনের কল রেকর্ড, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি খতিয়ে দেখে তাঁর প্রেমিক সাহেবকে খুঁজে বের করে পুলিশ(Police)।”

Uttar Pradesh 22 year old college student’s body found in dhaba police arrests boyfriend

আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রের গাড়িতে GPS প্রযুক্তি! নজরদারিতে AI ক্যামেরা, টেট-ডিএলএড পরীক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা পর্ষদের

পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অলকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন সাহেব। তিনি বলেন, ‘অলকা বার বার বিয়ে করার জন্য চাপ দিত। মাঝেমাঝে টাকাও চাইত। বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।’’ মৃতার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।