লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকে রাজ্যের শাসক শিবির ছেড়ে গেরুয়া বাহিনীতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সেইসময় রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েত, পুরসভা এলাকার শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই রাজ্যে বিজেপির পাল্লা আস্তে আস্তে ভারী হচ্ছিল। কিন্তু সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পর কয়েকমাস যেতে না যেতেই আবার ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরল বাঁকুড়ার ওন্দায়। একসময় যে নেতা-নেত্রীরা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন আজ তারা আবার তৃণমূলে ফিরলেন। তাই যে পঞ্চায়েতগুলি শাসক শিবিরের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সেগুলি আবার পুণর্দখল হল।
শনিবার বাঁকুড়ার নাকাইজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানও ফিরলেন দলে। বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে তাঁদের হাতে পুনরায় পতাকা তুলে দেন শাসক শিবিরের অন্যতম নেতা তথা বিধায়ক অরূপ খাঁ। যদিও এই প্রথমবার নয় এর আগে শুন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে চলে যাওয়া কিছু তৃণমূল সদস্য পুনরায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। এবার পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান।
দলীয় নেতৃত্বদের আবার ফিরে পেয়ে খুশির হাওয়া বাঁকুড়ায়। তাই এদিন বাঁকুড়া গ্রামীন জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বিজেপির বিরুদ্ধে এক হাত নিয়ে সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি করে তৃণমূলের সদস্যদের বিজেপিতে যোগদান করানোর অভিযোগ তোলেন।
যদিও এই প্রথমবার নয় এর আগে কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভা এলাকাও তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে গিয়েও আবার শাসক শিবিরের দখলে চলে আসে। কাউন্সিলররা যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা আবারও তৃণমূলেই ফিরে আসেন।
তাই একদিকে রাজ্যে বিজেপি এক কোটি লক্ষ্য পূরণের টার্গেট দিলেও যেভাবে শাসক দল ছেড়ে যাওয়া সদস্যরা আবারও শাসক শিবিরের ওপর আস্থা রেখে ফিরে আসছেন তাতে সেই লক্ষ্য পূরণ কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।