‘বাংলা সিনেমার সুপারস্টার? হাস্যকর’, দেব-কুণালের বিতর্কের মাঝে বিস্ফোরক মন্তব্য ব্রাত্য বসুর

Published on:

Published on:

Bratya Basu Questions ‘Superstar’ Culture in Bengali Cinema Amid Dev-Kunal Row

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেব ও কুণাল ঘোষের মধ্যে পুজোর ছবি নিয়ে বাগযুদ্ধের মধ্যেই এবার সরাসরি মুখ খোললেন শিক্ষামন্ত্রী ও অভিনেতা ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বাংলা চলচ্চিত্রের ‘সুপারস্টার’ বিতর্কে সরাসরি মন্তব্য করলেন শিক্ষা মন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সত্যিকারের সুপারস্টার নেই।’

“বাংলা সিনেমায় ‘সুপারস্টার’ শব্দটাই হাস্যকর” মন্তব্য ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)

ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, “যিনি সুপারস্টার, তিনি অন্যের অধীনে রাজনীতি করেন না। সত্যিকারের সুপারস্টার নিজেই দল গড়ে তোলেন। তৃণমূলে সুপারস্টার বলতে গেলে সেটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর স্টার বলতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” তিনি আরও বলেন, “বাংলা সিনেমায় ‘সুপারস্টার’ শব্দটাই হাস্যকর। কেউ নিজেকে সুপারস্টার বললে, সেটা দ্বিচারিতা।” এরপর ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, “দেব-কুণালের কী লড়াই হয়েছে, আমি জানি না। চারটিই বাংলা ছবি, চারটিই যদি ব্যবসা করে, খুবই ভাল। বাকি রাজনৈতিক অ্যাঙ্গেল রয়েছে, সিনেমার যাঁরা সুপারস্টার, তাঁরা কখনও অন্য দলে, অন্য নেতার অধীনে রাজনীতি করেননি।”

নিজের প্রসঙ্গ টেনে এদিন শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu) বলেন, “আমি থিয়েটার করি, রাজনীতিতেও আছি। তারপর যদি বলি আমি সুপারস্টার, এর থেকে হাস্যকর দ্বিচারিতা আর কিছু হতে পারে না।” ব্রাত্য বসু এদিন স্পষ্ট বলেন, “ভালো অভিনেতা আছে, স্টারও থাকতে পারে, কিন্তু সুপারস্টার কেউ নেই।”

উল্লেখ্য, এই দুর্গাপুজোতে চারটি বাংলা সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পায়। দেবের ‘রঘু ডাকাত’ বনাম ‘রক্তবীজ-২’ এই নিয়ে প্রযোজকরা ও অভিনেতাদের ঘনিষ্ঠরা বাগযুদ্ধে লিপ্ত হন। কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে বেশি প্রেক্ষাগৃহে বেশি শো নেওয়া। এমনকি দেবকে মাফিয়া বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে।

Bratya Basu Questions ‘Superstar’ Culture in Bengali Cinema Amid Dev-Kunal Row

আরও পড়ুনঃ “কলকাতা কি সত্যিই সুরক্ষিত?”, NCRB-এর রিপোর্টে ফুঁসে উঠলেন তিলোত্তমার মা-বাবা

দেব বলেন, “কাউকে ছোট করে বড় হতে পারব না। এই প্রচেষ্টা কখনও করিনি। বন্ধু হতে যোগ্যতা লাগে, শত্রু হতে যোগ্যতাও লাগে। আমার মনে হয়, এখনও কেউ সেই জায়গায় পৌঁছায়নি।” এই বিতর্ককে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) চলচ্চিত্রের সীমার বাইরে নিয়ে এসে সরাসরি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আলোচনা করেছেন।