বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভায় চলছে বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে বাংলা ও বাঙালির হেনস্থা সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে চলছিল বিশেষ আলোচনা। মঙ্গলবার সেই অধিবেশন চলাকালীন উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। এদিন অধিবেশন চলাকালীন CAA ইস্যু নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী এই ইস্যু তুলতেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানান, বাংলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে (CAA) আবেদন করেছেন মাত্র ১২ জন।
বিরোধী নেতার প্রশ্নে CAA প্রসঙ্গ
এদিন বিধানসভায় বাংলা ও বাঙালি হেনস্থা সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলাকালীন হঠাৎই শুভেন্দু অধিকারী CAA প্রসঙ্গ তোলেন। নিজের মতামত প্রকাশ করে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় আইনের বাস্তবায়ন বাংলায় কেন হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তাঁর।
শুভেন্দু প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন…
শুভেন্দুর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, “CAA-তে এই বাংলা থেকে মাত্র ১২ জন আবেদন করেছেন।”” তাঁর মতে, এই সংখ্যা থেকেই স্পষ্ট মানুষ এই আইনে ভরসা রাখছেন না। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিরোধীরা যদি এই নিয়ে কোনও প্রস্তাব আনেন, তবে আলোচনা হবে, তবে বাংলা ভাষার আলোচনায় CAA কে টানা অর্থহীন।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিতর্ক চলছে বহুদিন ধরে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সাধারণ মানুষকে CAA ও NRC নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি জানিয়ে এসেছেন, কোনও ফর্ম ফিলাপ না করতে। এমনকি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “প্রয়োজনে জীবন দেব, তবু বাংলার মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে দেব না।” সম্প্রতি, অসম সরকার বাংলার কয়েকজনকে NRC নোটিস পাঠানো নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ গরিবের স্বার্থে তৈরি আইনকে অপব্যবহার? মাতুয়াদের মামলা খারিজ করে কড়া বার্তা দিল হাইকোর্ট
অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীকে অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তিনি বেরিয়ে আসতেই বাকি বিরোধী বিধায়করাও কক্ষ ত্যাগ করেন। এই ঘটনা অর্থাৎ CAA ইস্যু ঘিরে বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপির দ্বন্দ্ব আবারও সামনে এল।