বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের জন্য বড় স্বস্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগে যেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর, সেখানে সেই সময় বাড়িয়ে আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সময়সীমা পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকরা আগের মতোই কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন এবং বেতনও পাবেন। ফলে স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা, পাশাপাশি কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্য সরকারও। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে খুশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
নির্দেশ বদলালো সুপ্রিম কোর্ট
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ‘যোগ্য’রা স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারবেন এবং এই সময়ের মধ্যেই নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। কিন্তু সময়সীমা শেষ হওয়ার দিন যত এগোচ্ছিল, ততই বাড়ছিল যোগ্য শিক্ষকদের উদ্বেগ।
এই পরিস্থিতিতে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। একই আবেদন জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। সেই আবেদনগুলির প্রেক্ষিতেই বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয়।
কী বলেছেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)?
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে খুশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) রায়ের পর সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া ৩১ অগস্টের মধ্যে শেষ করতে বলেছে, যা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঠিক দিকনির্দেশের প্রতি আস্থার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’

আরও পড়ুনঃ দলকে না জানিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক? অভিষেক কড়া বার্তা দিতেই রচনা বললেন…
তিনি (Bratya Basu) আরও লেখেন, এই সময়সীমার মধ্যে শিক্ষকরা আগের মতোই কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার পথেই এগোনোর বিষয়টিও এই নির্দেশে স্পষ্ট হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা।












