বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রুটি (Bread fruit) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য। কিন্তু কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা গোবিন্দ সাহা তার নার্সারিতে গাছে চাষ করলেন এই রুটি। এই রুটি ফলের স্বাদ সাধারণ রুটির থেকে ভিন্ন। কিন্তু এটিকে রুটির মতই ভারী খাবার হিসেবে গ্রহণ করা যায়। বাংলাদেশ থেকে এই রুটি ফলের চারা গাছ ছয় মাস আগে কিনে আনেন গোবিন্দ বাবু।
জানা গিয়েছে, এরপর সেই চারা রোপন করেন নিজের নার্সারিতে। রুটি ফলের গাছ গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে লাগান গোবিন্দ বাবু। গোবিন্দ বাবুর কথায় এই গাছে ফুল আসে এপ্রিল মাসের দিকে। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই গাছের ফল সংগ্রহ করা যায়। পূর্ণবয়স্ক একটি গাছে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৫০০র বেশি ফল হয়।
৫০০ গ্রাম থেকে ৬ কিলোর মধ্যে এই ফলগুলির ওজন হয়ে থাকে। গোবিন্দ বাবু জানান রুটি ফল দেখতে অনেকটা কাঁঠালের মতো। তবে এর স্বাদ মিষ্টি আলুর মতো। এক চিকিৎসকের কথায়, ইন্দনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড সহ উষ্ণ অঞ্চলীয় দেশ গুলোতে চাষ করা হয় এই ধরনের রুটি ফলের। এই রুটি ফলে রয়েছে সুষম খাবারের সবকটি গুণ।
শর্করা ছাড়াও এই ফলে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ,প্রোটিন, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন , মিনারেল সহ বহু পুষ্টিগুণ। এই ফল রক্তচাপ কমাতে ও হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মস্তিষ্কের বিকাশ ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এই ফল। চিকিৎসকের কথায় প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য এই ফল খুবই উপকারী।
তবে চিকিৎসক জানান এই ফলের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যাদের রক্তপাতের সমস্যা রয়েছে কিংবা অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করেই এই ফল খাবেন। কালিয়াগঞ্জে (Kaliagunj) গোবিন্দ বাবুর এই নতুন উদ্ভাবনের পর তার বাড়িতে বহু মানুষ ভিড় করছেন। অনেকেই তার কাছ থেকে এই রুটির ফলের চারা গাছ নিয়ে যাচ্ছেন।