বাংলা হান্ট ডেস্ক: অনেক সময়ে ভাগ্যের কারণেই সঠিক পরিশ্রমের পরেও কোনো কাজে ভালো ফল পাওয়া যায় না। এমনকি, ঋণ বৃদ্ধির পাশাপাশি অনেকে মুখোমুখি হন আর্থিক সঙ্কটেও। এমতাবস্থায়, এই সমস্ত কিছুর কারণ হল বাড়ির গ্রহের দোষ এবং বাস্তু দোষ। মূলত, ঘরে উপস্থিত এই ত্রুটিগুলি মানুষকে দরিদ্র করে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি বর্তমানে এই সমস্যাগুলির মুখোমুখি হন সেক্ষেত্রে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন কয়েকটি উপায়ের প্রসঙ্গে জানাবো, যেগুলি আপনাকে আর্থিকভাবে লাভবান করার পাশাপাশি আপনার সৌভাগ্যকেও ফিরিয়ে আনবে।
সম্পদ প্রাপ্তির উপায়: বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়িতে কিছু বিশেষ গাছের মূল স্থাপন করলে আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হল সহদেবী (নীল ঝিঁটি) উদ্ভিদের শিকড়। একটি লাল রঙের কাপড়ে মুড়ে ওই শিকড় হাতের উপর বেঁধে নিতে হবে। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়ি থেকে অভাব দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি, আলমারিতে রাখলে অর্থের অভাবও ঘটবে না।
এছাড়াও, তন্ত্রসিদ্ধ শ্বেত আপাং গাছের শিকড়ও সম্পদ আকর্ষণের জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই গাছের শিকড় নিজের কাছাকাছি রাখলে একজন ব্যক্তি ব্যবসায় প্রচুর লাভ পাবেন। এছাড়াও, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল অর্জিত হয়।
মনে করা হয় যে, মন্ত্রসিদ্ধ শ্বেতার্ক অর্থাৎ সাদা আকন্দের আকন্দের শিকড় দিয়ে তৈরি গণেশ প্রতিমার পুজো করলে ভক্তদের বিশেষ উপকার হয়। এই গাছের শিকড়ের একটি টুকরো তাবিজে ভরে বাহুতে ধারণ করলে বাড়ি থেকে অভাব দূর হয় এবং দেবী লক্ষ্মী বাড়িতে বিরাজ করেন।
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, বহেরার পাতা এবং শিকড়ও খুব অলৌকিক। অর্থ আকর্ষণের জন্য এর পাতা বা শিকড় আলমারি, কোষাগার বা অন্য কোনো পবিত্র স্থানে রাখলে সম্পদ ও শস্য ভালোভাবে পাওয়া যায়। পাশাপাশি, বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধিও বজায় থাকে।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদ সর্ষের সাথে নিশিন্দা গাছ নিয়ে একটি হলুদ কাপড়ে বেঁধে সেটি দোকানের দরজায় ঝুলিয়ে রাখলে ব্যবসায় লাভবান হওয়া সম্ভব।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, কুশের তৈরি আংটি ভরণী নক্ষত্রে এনে মন্দিরে রাখলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়। এছাড়াও, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মাঘ নক্ষত্রে শিউলি বা হরসিঙ্গরের ফুল নিয়ে এসে পুজো করার পর পরে সেগুলি বাড়ির সঠিক স্থানে রাখলে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
এমতাবস্থায়, উপরে উল্লিখিত উপায়গুলি মেনে চলার পাশাপাশি অবশ্যই ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তি ও কর্মেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই প্রতিকারগুলি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে গুরুত্বের সাথে পালন করলে একজন ব্যক্তি অবশ্যই উপকৃত হবেন।
(সতর্কীকরণ: এখানে দেওয়া সমস্ত তথ্য সামাজিক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। বাংলাহান্ট এগুলিকে নিশ্চিত করে না।)