বিয়েবাড়িতে দেদার গুলি, যোগী রাজ্যে শ্বশুরের হাতে খুন ডন দাউদ ইব্রাহিমের শ্যালক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বুধবার সাত সকালে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) নিকট আত্মীয়ের হত্যার খবরে মুখরিত ভারতীয় গণমাধ্যম। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জালালবাদে। সেখানে নিজের এক ভাইপোর বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলেন মাফিয়া ডন দাউদের এই আত্মীয়। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান তিনি।

মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম নিহাল খান। তিনি পলাতক মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকারের শ্যালক ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, জালালাবাদের চেয়ারম্যান শাকিল খানের সাথেও একটা সম্পর্ক ছিল নিহালের। সাল ২০১৬ তে শাকিলের ভাই কামালের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় নিহাল। প্রাথমিকভাবে এই বিয়ে মেনে না নিলেও পরে দুই পক্ষই বিষয়টা মিটমাট করে নেয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, শাকিলের ভাই কামিলই নিহালকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এই বিষয়ে জালালাবাদের চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই নিহালের উপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। নিহাল ১৫ ফেব্রুয়ারি ফ্লাইট মিস করায় সড়ক পথেই জালালাবাদ এসেছিল। আমার মনে হয় কামিল ২০১৬ সালের ঘটনা নিয়ে এখনও ক্ষুব্ধ ছিল এবং প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।’

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরপরই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এইদিন এসপি মনোজ অবস্থি জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই কামিল খান পলাতক। আপাতত পুলিশ তার খোঁজ চালাচ্ছে। একই সাথে নিহালের মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত দাউদ ইব্রাহিমকে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছে।

দিনকয়েক আগেই তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার খবর মিলেছিল। সেই সময় শোনা যায়, অসুস্থ দাউদকে নাকি করাচির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও পরে বলা হয় এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। দাউদ ইব্রাহিম ১৯৫৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম শেখ দাউদ ইব্রাহিম কাসকার। তার বাবা মুম্বাই পুলিশে হেড কনস্টেবল ছিলেন।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর