হঠাৎ ‘মিষ্টি’ আবদার বুদ্ধবাবুর! চিকিৎসকদের কাছে কী এমন চাইলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন আগের থেকে এখন একটু ভাল আছেন বুদ্ধবাবু। দুদিন হল তাকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মাঝে মাঝেই তাকে বাইপ্যাপ সাপোর্ট দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। নিজে থেকেই কথাও বলছেন বুদ্ধবাবু। বর্তমানে রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাবার ঢুকছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে। এই অবস্থায় নিজে থেকে ‘মিষ্টি’ আবদার বুদ্ধদেবের। তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসক জানিয়েছেন গতকাল নিজে থেকে আম খেতে চেয়েছেন বুদ্ধবাবু।

বুদ্ধবাবুর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম সদস্য এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, বুধবার সকালেই নাকি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আম খাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তাহলে কী মেটানো হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আমের আবদার? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এখনই সেই পরিস্থিতি নেই। তাকে এখন আম দেওয়া সম্ভব নয়।

   

বর্তমানে একেবারে রাইলস টিউব খুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন না চিকিৎসকেরা। এরপর আস্তে আস্তে রাইলস টিউব খুলে মুখ দিয়ে খাওয়া শুরু করানোর প্রচেষ্টায় রয়েছেন তারা। যদিও রাইলস টিউব দিয়ে তরল খাবার খাওয়ানোয় যথেষ্ট অনীহা রয়েছে বুদ্ধবাবুর। তবে এখন মুখ দিয়ে কিছু খেতে দেওয়া হচ্ছে না তাকে। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে খেতে পারলে তখন বুদ্ধদেবকে আমের নরম অংশ দেওয়া যেতে পারে কি না তা নিয়েও ভাবনাচিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকেরা।

সম্প্রতি কথা বলতে শুরু করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, শরীরে কী কী সমস্যা হচ্ছে তা নিজেই চিকিৎসক এবং ঘনিষ্ঠদের জানাচ্ছেন কমরেড। পাশাপাশি নিজে নিজেই শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একটানা বহুক্ষণ বাইপ্যাপ সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হচ্ছে না তাকে। মাঝেমাঝেই যখন তা খুলে দেওয়া হচ্ছে তখন নিজেই শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

buddhadeb

তিনি নাকি চিকিৎসক এবং ঘনিষ্ঠদের কাছে বলেছেন, ‘‘আমাকে এ বার ছেড়ে দিন।’’ মনে করা হচ্ছে, হাসপাতালে আর মনে টিকছে না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। ফিরতে চান পাম অ্যাভিনিউয়ের সরকারি ফ্ল্যাটে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর