বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এগরার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বজবজ (Budge Budge)। বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু হয় তিন জনের। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে একটি দোতলা বাড়ির অস্থায়ী ছাউনির একাংশ ধসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ঘটনার পরই রবিবার রাতভর এলাকায় চলে ডায়মন্ড হারবার পুলিশের অভিযান। আটক করা হয়েছে বহুজনকে। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর পরিমাণ বাজি ও বাজি তৈরির বারুদ। বিস্ফোরণের ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে এতটাই উত্তেজনা ছড়ায় যে ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে।
গোটা এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের প্রবেশেও শুরু হয় কড়াকড়ি। পরে বিকেলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। সূত্রের খবর প্রায় ৩৭ হাজার কেজি বেআইনি বাজি ও বাজি তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে এই পরিমান গিয়ে দাঁড়ায় ৫৫ হাজার কেজি।
ঘটনায় বেচু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এরই মধ্যে ফের একই ঘটনায় হাজারো প্রশ্ন উঠে আসছে। কোথা থেকে এত অবৈধ বাজি আসছে? কোন নিয়মে চলছে সেই কারখানা গুলি?
এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে সোমবার নবান্ন (Nabanan) একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়েছে। যেই কমিটি নেতৃত্বে থাকছেন মুখ্যসচিব। কমিটিতে থাকছে এমএসএমই, পঞ্চায়েত, দমকল, পুরদফতর, স্বরাষ্ট্র দফতরের সদস্য। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই বাজি ক্লাস্টার তৈরি করে নিয়মিত নজরদারি রাখার পরিকল্পনাও করছে সরকার।