বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ থেকেই শুরু সংসদের বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। এদিন উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। আজ পার্লামেন্টে তাঁর প্রথম ভাষণ দেবেন। চলতি অধিবেশনে সরকারের নজর থাকবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেটের ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর। বিরোধী দলগুলি আদানি গোষ্ঠী, কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপালদের কাজকর্ম, জাতিভিত্তিক আদমশুমারি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে ঘেরাও করার পরিকল্পনা করে রেখেছে বলে জানা যাচ্ছে। আজ ৩১ জানুয়ারি সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষাও পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন। বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব চলবে ১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। বাজেট অধিবেশনে মোট ২৭টি বৈঠক হবে। গতকালের সর্বদলীয় বৈঠকে, সরকার পরিস্কার নির্দেশ দিয়েছ সংসদে নিয়মের আওতায় প্রতিটি বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। হাউসকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সকলের সহযোগিতা চায় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের পর সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি বলেন, ‘সরকার সংসদে নিয়মের অধীনে প্রতিটি বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত, এই বিষয়ে আমরা বিরোধীদের সহযোগিতা চাই।’
যোশি আরও জানান, এই বৈঠকে ২৭টি রাজনৈতিক দলের মোট ৩৭ জন নেতা অংশ নেবেন। বৈঠকে আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা, ডিএমকে, বাম দলগুলি ইত্যাদি আদানি গ্রুপ সম্পর্কিত সমস্যাটি উত্থাপন করেছিল এবং সংসদ অধিবেশন চলাকালীন এটি নিয়ে আলোচনা করার আবেদনও করে তারা। উল্লেখযোগ্যভাবে, আমেরিকান ফরেনসিক আর্থিক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনে। এর প্রভাবে গত কয়েক দিনে আদানি গ্রুপ সংস্থাগুলির শেয়ার ব্যাপকভাবে পড়ে গেছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগের জবাবে রবিবার আদানি গ্রুপ ৪১৩ পৃষ্ঠার একটি ‘স্পষ্টীকরণ’ও জারি করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
বৈঠকে টিআরএস এবং ডিএমকে-র মতো দলগুলি বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালের আচরণের প্রসঙ্গ তুলেছে। পাশাপাশি সর্বদলীয় বৈঠকে যুবজন শ্রমিক রাইথু কংগ্রেস পার্টি বা ওয়াইএসআর কংগ্রেস জাতীয় স্তরে জাতি ভিত্তিক অর্থনৈতিক শুমারির দাবি জানিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতারা বলেছেন যে সামাজিক ও উন্নয়ন সূচকে কোন শ্রেণি পিছিয়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করতে অনগ্রসর শ্রেণির অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য জানা প্রয়োজন। বৈঠকে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে পার্লামেন্ট সূত্রে খবর।