বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় মফস্বল এলাকা বা গ্রামাঞ্চলে বাঁশ গাছের ঝাড় দেখা যেত। সময়ের সাথে বাঁশ গাছের সংখ্যা কমলেও তার চাহিদা কিন্তু বিন্দুমাত্র কমেনি। বাঁশ গাছ চাষ করে আপনি বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারেন। অনেকেই চাষ করার জন্য বেছে নেন নানান ধরনের গাছ। কিন্তু বাঁশ গাছের চাষের ব্যবসায় একবার বিনিয়োগ করলেই আপনি ৪০ বছর পর্যন্ত লাভ পেতে পারেন।
এছাড়াও সরকার এই গাছ কিনতে আপনাকে সাহায্য করবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। অংকের হিসাবে, ১০০ টাকা যদি কোন গাছের দাম হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে খরচ করতে হবে মাত্র ৫০ টাকা। বাকি ৫০ টাকা সরকার দেবে। কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বাঁশ চাষের ব্যবসা? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
বাঁশ চাষে একবার বিনিয়োগ করলে আপনি ৪০ বছর পর্যন্ত তার থেকে লাভ পেতে পারেন। এছাড়াও বিশেষ কোনো রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না এই গাছের। সারা বিশ্বে প্রায় ১৪০০ জাতের বাঁশ হয়। বর্তমান আধুনিক যুগেও বাঁশের চাহিদা কিন্তু বেশ ভালই।
তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যায় বাঁশ গাছের বড় হতে। সাধারণত ১৫০০ গাছ লাগানো যায় এক হেক্টর জমিতে। পাশাপাশি এই চাষ করলে সরকার থেকে পাওয়া যায় ভর্তুকি। মাত্র ১২০ টাকা খরচ করলে আপনি একটি বাঁশ গাছ কিনতে পারেন। প্রথমে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে প্রতি হেক্টর পিছু চাষে। বড় হলে আপনি হেক্টর পিছু ৭ থেকে ৯ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।
সারা পৃথিবী জুড়েই বাঁশের চাহিদা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ২০২৫ সালের মধ্যে আসবাবপত্রের বাজারে বাঁশ গাছের ব্যবসা এক লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। এছাড়াও সারা পৃথিবীর বাজারের নিরিখে ৪.৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ভারতের। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সময়ের সাথে শেয়ার আরও বাড়তে পারে ভারতের। এছাড়াও কাঠের নির্ভরতা কমাতে বাঁশের জুড়ি মেলা ভার। তাই গাছ কাটা আটকাতে ও বন বাঁচাতে সরকার এই চাষে উৎসাহ প্রদান করছে।