আবর্জনা দিয়ে আয়! ২৫ বছরের মেয়ে অভিনব ব্যবসা করে করছে কামাচ্ছে মোটা টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে একের পর এক নতুন উদ্যোগ শুরু করার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে দেশের যুবসমাজের মধ্যে। ভারতের প্রতিটি প্রান্তেই এই ছবি দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, সেইসব স্টার্টআপের (Startup) মাধ্যমে হচ্ছে কর্মসংস্থানের সুযোগও। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সর্বোপরি, নতুন এই উদ্যোগগুলিতে গ্রামীণ মহিলারা সামিল হয়ে নিজেদেরকে স্বনির্ভর করে তুলছেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা এমন এক মহিলার প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব যিনি এক অভিনব উপায় নিয়ে কাজ করছেন।

এমনিতেই বিহারের হাজিপুরের মহিলারা দেশের উৎকৃষ্ট মানের কলা চাষের জন্য পরিচিত। তবে, এখন সেখানকার মহিলারা কলা চাষের পাশাপাশি ওই গাছের বিভিন্ন অংশকে কাজে লাগিয়ে দারুণ সব জিনিসপত্র তৈরি করছেন। আর এই মহতী কাজে তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈশালী প্রিয়া নামের এক Fashion Entrepreneur।

এই প্রসঙ্গে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২৫ বছর বয়সী বৈশালী এখান থেকে ফাইবার (তন্তু) পৌঁছে দিচ্ছেন ইউরোপের টেক্সটাইল এবং অ্যাক্সেসারিজ বাজারে। এদিকে, এই কাজের মাধ্যমে তিনি গ্রামের মহিলাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তাঁদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের বিষয়টিতেও জোর দিচ্ছেন। মূলত, বৈশালী “সুরময়ী কলা নিষ্কাশন প্রকল্প” (Surmayi Banana Extraction Project) চালু করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি জৈবিক এবং প্রাকৃতিক বস্তু থেকে ফাইবার আহরণের দক্ষতার প্রচার করছেন।

এদিকে, তাঁর এই কাজে স্থানীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রও সাহায্য করছে। প্রথমে ৩০ জন মহিলাকে নিয়ে এই কাজ শুরু করেন বৈশালী। কিন্তু, এখন ক্রমশ সেই সংখ্যা বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে বৈশালী জানান ,“ওই মহিলাদের এবং অন্যান্য সদস্যদের কলা গাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন কাঁচামাল থেকে পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মূলত, কলা গাছের তন্তু বিভিন্ন ওজন এবং আকারের হওয়ায় সেগুলি বস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কলা গাছে প্রায় ৫-৬ কেজি তন্তু রয়েছে।”

maxresdefault 5

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশুনা করার পর বৈশালী জানতে পেরেছিলেন যে, কলার তন্তু থেকে কাপড় সহ অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্রও তৈরি করা যায়। এরপর তিনি তাঁর চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে আসেন এবং এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। তিনি জানান, ফাইবার থেকে প্রথমে দড়ি তৈরি করা হয়। যা থেকে পরবর্তীকালে অন্যান্য পণ্য তৈরি করা যায়। পাশাপাশি, মহিলারা বাড়িতে এই তন্তু দিয়ে দড়ি তৈরি করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করছেন বলেও জানান তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর