বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। রাজ্যে ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধিও। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জনসভা থেকে জোর টক্কর চলছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে। অন্যদিকে, ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে উন্মাদনা তৈরি করছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ এর জোট। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বাংলার মসনদে বসবে কারা? ফের কি পর্ত্যবর্তনের সাক্ষী হয়ে উঠবে বাংলা? নাকি প্রথমবারের মতো বঙ্গবাসী রাজ্যের ভার তুলে দেবে পদ্ম শিবিরের ঘাড়ে?
সম্প্রতি এই সব প্রশ্নের উত্তর দিলো সি-ভোটারের জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলা দখলের লড়াইয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। আর প্রথম স্থানে এখনও পর্যন্ত শাসকদল তৃণমূলই। ২১’শের ভোটে বাংলা দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠা বিজেপি যে দু’নম্বর স্থানে জায়গা পেয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জনমত সমীক্ষার ফলাফল সব সময় যথাযত নাও হতে পারে। অর্থাৎ বাংলার মসনদে বসার সম্ভবনা খুঁইয়ে যায়নি বিজেপির।
গত জানুয়ারি মাসে সি-ভোটের ( C-Voter ) যে সমীক্ষা ( Survey ) সামনে এসেছিল, তাতে দেখা গিয়েছে নির্বাচনে বাংলায় ১৫৪ থেকে ১৬২ টি আসন তৃণমূল, ৯৮ থেকে ১০৬ টি আসন বিজেপি ( BJP ) এবং সংযুক্ত মোর্চার শরিক দল বাম-কংগ্রেস জোট পেতে চলেছে ২৬-৩৪টি আসন।
তবে মার্চের যে সমীক্ষার রিপোর্ট সি-ভোটার প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল পাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬৬ টি আসন। অর্থ্যাৎ দ্বিতীয় সমীক্ষা শাসকদলের ৪ টি আসন আরও বেশি পাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি তাদের ঝুলিতে ভরছে ৯৮ থেকে ১১৪ টি আসন এবং বাম-কংগ্রেস জোট পাচ্ছে ২৩ থেকে ৩১টি আসন।
সব মিলিয়ে দুটি সমীক্ষাতেই বাংলায় প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। তবে সমীক্ষার এই ইঙ্গিত ফলাফল প্রকাশের পর যে পুরোপুরি উল্টে যেতে পারে, তারও নজির পূর্বের একাধিক নির্বাচনে দেখতে মিলেছে। এখন দেখার বিষয়, তৃণমূলের দাপুটে নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের নিজেদের দলে টেনে এবং দিল্লি থেকে স্টার ক্যাম্পেনারদের কে এনে ভোট প্রচার কতটা প্রভাব ফেলতে পারে রাজ্যবাসীর মনে।