বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশ, আফগানিস্থান ও পাকিস্তানের থেকে আসা সংখ্যালঘু অর্থাত্ সেদেশের হিন্দুদের মধ্যে যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এদেশে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। এই নিয়েই যত বিরোধ। কেন সেখানে মুসলিমদের জায়গা নেই। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন সেই তিনদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তাই তাদের এদেশে ঠাঁই দিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
আর এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে দেশের সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। যদিও এই আইনের মধ্য দিয়ে কখনও দেশের মুসলিমদের কোনোরকম ক্ষতি হবে না এবং প্রভাব পড়বে না বলে জানানো হয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধিতার ঝড়। তাহলে এতদিন ধরে যাঁরা অহিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এদেশে রয়েছে তাঁরা যাবেন কোথায় উঠছে প্রশ্ন। তবে এতদিন ধরে যেভাবে বিরোধিতার ঝড় উঠেছিল।
এবার বোধহয় স্তিমিত হতে চলেছে আস্তে আস্তে। যদিও মানছে কেউই। কিন্তু এরই মধ্যে আবার আরও এক কাণ্ড। বিরোধিতা নয় এবার সমর্থণে পা মেলাবেন উদ্বাস্তু হিন্দুরা।রাজ্যে যেভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ঝড় উঠেছিল ও উত্তেোজনা ছড়িয়েছিল তার থেকে কয়েক কদম এগিয়ে সমর্থণে গা ভাসাতে চলেছে উদ্বাস্তুরা। শনিবার বিকেল ৫টার সময় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে শ্যামবাজারে নেতাজি মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করবে তারা।
আসলে উদ্বাস্তু হিন্দু যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এদেশে আছেন তাঁদের পরিচয় নেই। এবার মোদী সরকারের কল্যানে তাঁদের গতি হচ্ছে আর তাই তো এবার সমর্থণে অকাল হোলি উত্সবে মাতবে রাজ্যের সমস্ত হিন্দু উদ্বাস্তুরা। এমনিতেই বিজেপির তরফ থেকে নাগরিকত্ব সংসোধনী আইনের সমর্থণে মিছিল হয়েছিল কিন্তু তা ফলপ্রস্ু হয়নি। তাই তো এবার হিন্দু উদ্বাস্তুদের দিয়ে মিছিল করাচ্ছে বিজেপি, এমনও জল্পনা ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে আবার শনিবার রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় আরও একটি মিছিল রয়েছে বিজেপির রাজ্য দফতর অভিযান রয়েছে যাদবপুর ও এসআরএফটিআই-এর পড়ুয়ারা৷এদিন দুপুর তিনটে থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হওয়ার কথা। তাই শনিবার বিরোধী ও সমর্থন মিছিল ঘিরে যে একটা ধুমন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা এক প্রকার আশঙ্কা করাই যাচ্ছে।