বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘স্লিপ অফ টাং’! এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় সিএএ কার্যকর হবে বলে রবিবার দাবি করেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Minister Shantanu Thakur)। তবে সপ্তাহ ঘুরতেই পাল্টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। শনিবার শান্তনু ঠাকুর বললেন, যা বলেছিলেন তা ‘স্লিপ অফ টাং’, ‘‘মুখ ফসকে বলে ফেলেছি।’’
একসময় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল তথা Citizenship Amendment Act (CAA) নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠছিল গোটা দেশ। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের আগেই এই নিয়ে বিরাট কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Governmet) এমন খবরই হাওয়ায় ভাসছে। আর এই আবহেই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় সিএএ কার্যকর হবে বলে রবিবার জোর গলায় দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
এর আগে রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নিশ্চিন্দপুরে বিজেপির বুথ কর্মী সম্মেলনে দাঁড়িয়ে শান্তনু বলেছিলেন, “ যারা ১৯৭১ সালের পরে দেশে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করা দরকার। একবার বিজেপি সরকার সিএএ চালু করলে আর কোনও সরকার আমাদের যখন খুশি ঘাড়ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বার করে দিতে পারবে না। দেশে সিএএ লাগু হবে এই গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ লাগু হবে। এই মঞ্চ থেকে গ্যারান্টি দিয়ে যাচ্ছি।”
এদিকে এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের করা মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ালেন শান্তনু। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার কুঠিবাড়িতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তনু। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘‘এক সপ্তাহের মধ্যে রুল ফ্রেম (নীতি প্রণয়ন) সম্পন্ন হবে বলতে গিয়ে মুখ ফসকে গিয়েছিল।’’ তবে এদিনও ‘গ্যারান্টি’ দিয়ে বলেন, ‘‘কিছু দিনের মধ্যেই সিএএ চালু হবে। এটা ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি।’’
এদিকে শান্তনুর পাল্টির পরই এই নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শান্তনুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘ওটা স্লিপ অফ টাং নয়। মিথ্যা বলতে বলতে এ ভাবে এক দিন জিভটাই খসে পড়বে।’’
আরও পড়ুন: ‘আমরা পাঠাইনি’, শংকরকে কখনও নোটিসই দেয়নি ED, তাহলে করা করেছিল এই কাজ? শোরগোল
এদিকে শান্তনুর মন্তব্যের পর কোচবিহারের সভা থেকে মমতার পাল্টা আক্রমণ করে বলেছিলেন, “ভোট আসতেই ক্যা ক্যা চিৎকার শুরু করে দিয়েছে। ভোটের ফ্যা ফ্যা রাজনীতি করার জন্য। সিএএ নিয়ে লাফালাফি করলে চলবে না। কীসের সিএএ? এনআরসি হবে না। সবাই নাগরিক। নাগরিক না হলে ভোটাধিকার থাকত না। সকলেই ভোট দিতে পারেন। ”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বিএসএফের অত্যাচারে মানুষ অত্যচারিত। যদিও ওরা আলাদা পরিচয়পত্র দিতে আসে ওসব নেবেন না। বলবেন আপনার আধার কার্ড আছে। রেশন কার্ড আছে। বিপদে পড়লে আমি আছি। আমি বাঘের বাচ্চার মতো আছি। আপনাদের আমি রক্ষা করবই।’’