বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। শাসক থেকে বিরোধী ভোটের রণকৌশল সাজাতে ব্যস্ত সকলে। এই আবহেই ফের একবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে শোরগোল। একসময় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল তথা Citizenship Amendment Act (CAA) নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠছিল গোটা দেশ। দীর্ঘদিন ধরেই এই ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব চরমে। টানাপোড়েন চলছেই। তবে এবার শোনা যাচ্ছে লোকসভার আগেই লাগু হতে চলেছে CAA.
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় সিএএ কার্যকর হবে বলে রবিবার দাবি করে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Minister Shantanu Thakur)। এবার শান্তনুর সুরেই সুর মেলালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই সিএএ চালু হয়ে যাবে। ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি নাম নথিভুক্তকরণের সুযোগ করে দেবে।
শুভেন্দু আরও বলেন,”সিএএ-র সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কাড়ার নয়।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার দিল্লির মসনদ দখল করেই সিএএ নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন পাশ করায় মোদী সরকার। তবে মাঝে চার বছর কেটে গেলেও এখনও সেই আইন এখনও কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তবে লোকসভার আগে একে একে বাংলার গেরুয়া নেতাদের মুখে উঠে আসছে সিএএ ইস্যু।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নিশ্চিন্দপুরে বিজেপির বুথ কর্মী সম্মেলন থেকে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “দেশে সিএএ লাগু হবে এই গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ লাগু হবে। এই মঞ্চ থেকে গ্যারান্টি দিয়ে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: ‘শেখ শাহজাহান কী করেছে?’, সন্দেশখালি ঘটনার ২৪ দিন পর অবশেষে মুখ খুললেন অভিষেক
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ‘গ্যারান্টি’র পর তাকে তোপ দেগে পাল্টা উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভোট আসতেই ক্যা ক্যা চিৎকার শুরু করে দিয়েছে। ভোটের ফ্যা ফ্যা রাজনীতি করার জন্য। সিএএ নিয়ে লাফালাফি করলে চলবে না। কীসের সিএএ? এনআরসি হবে না। সবাই নাগরিক। নাগরিক না হলে ভোটাধিকার থাকত না। সকলেই ভোট দিতে পারেন। ” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “আইন পাশ তো অনেকদিন হয়ে গিয়েছে। এতদিনেও লাগু হয়নি কেন তাহলে?”