বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বর ইস্যুতে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত রয়েছে বঙ্গের পরিস্থিতি। হাওড়া, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে একাধিক মানুষ। গাড়ি ভাঙচুর, বোমা এবং ইট বৃষ্টির ঘটনায় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে বাংলার মানুষ আর এক্ষেত্রে অনেকেই প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে। সম্পূর্ণ ঘটনায় বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তোলে আর এদিন তাদের দাবিকেই একপ্রকার সিলমোহর দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হলো যে, বাংলায় অশান্তির ঘটনায় যদি প্রয়োজন পড়ে তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবে রাজ্য। কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি বর্তমানে রাজ্যের কাছে সম্পূর্ণ ঘটনার একটি রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গোটা দেশের ন্যায় বিতর্কের আঁচ এসে পড়েছে বাংলায়। হাওড়া সহ একাধিক জেলায় পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার পাশাপাশি 144 ধারা জারি করে প্রশাসন। যদিও বিক্ষোভ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা যায়নি আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্ন উঠেছে বারংবার। এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব দ্বারা সম্পূর্ণপরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয় রাজ্যের কাছে। এমনকি, যদি প্রয়োজন পড়ে তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, “বাংলায় কোন মারাত্মক ঘটনা যাতে না ঘটে, তা দেখতে হবে রাজ্যকে। যদি অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তবে উপযুক্ত এবং কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরাধীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি সরকার দ্বারা ভুক্তভোগী সকলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”
সূত্রের খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনের ঘটনায় বর্তমানে প্রায় 200 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এর মাঝে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ আগামী সময় বাংলায় কি বাতাবরণ সৃষ্টি করে চলেছে, সেটাই দেখার।