বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে বহু। সম্প্রতি শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে এসেছে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা (Tapas Saha)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই নেতার ঘনিষ্ঠ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। কিন্তু তাপসকে গ্রেফতারি নয় কেন?
এই প্রশ্ন তুলেই এবার রাজ্য সরকারের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এখনও পর্যন্ত কেন তপসবাবুকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না বৃহস্পতিবার আদালতে সেই প্রশ্নও উঠে আসে। প্রসঙ্গত, বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) এজলাসে এই মামলা চলছে। গতকাল আদালতে বিচারপতি জানান, ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কেস ডায়েরিও জমা করতে হবে।
দমকলে নিয়োগ সহ আরও কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে (High Court) বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলা। আদালতে মামলা করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। গত মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে বিচারপতি এজলাসে বলেন, ‘‘আদালত সত্য জানতে চায়।’’ পাশাপাশি এই অভিযোগের তদন্তভার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছেন বিচারপতি।
যদিও আপাতত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন শাখাই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলে নির্দেশ বিচারপতির। পাশাপাশি এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হবে কি না, এদিন সে বিষয়ে কিছু খোলসা করেনি উচ্চ আদালত। বিধায়কের অবশ্য দাবি, “দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তে আমি সব রকম সাহায্য করেছি। কিছু ব্যাঙ্কের বই ওরা খতিয়ে দেখেছেন। দুর্নীতির প্রমাণ পাননি বলেই গ্রেফতার করেননি।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূলের জেলাপরিষদের সদস্যা টিনা ভৌমিক সাহা এক সাংবাদিক সম্মেলন করে নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। স্কুলে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন বিধায়ক তাপস সাহা এরকম কথোপকথনের একটি অডিয়ো কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়। শুধু তাই নয়, দমকলে নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাপসবাবু জালিয়াতি করেছেন বলেই অভিযোগ ওঠে। এরপরই সেই অডিও টুইট করে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দ্বারস্থ হন তরুণজ্যোতি। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। কাল সেই মামলারই শুনানি ছিল।