বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ এক দশক ধরে রাজ্যের কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ হয়নি। সেই অচলাবস্থা ঘিরেই জনস্বার্থ মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকারকে ছাত্র সংসদ ভোট নিয়ে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে লিখিতভাবে হলফনামা জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি জারি করুক রাজ্য, বাকিটা আদালতের (Calcutta High Court) দায়িত্ব
শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) জানান, রাজ্যের কাজ শুধু বিজ্ঞপ্তি জারি করা। ভোট নির্বাচন আয়োজনে রাজ্যের ভূমিকা থাকে না। তখন বিচারপতির পালটা বক্তব্য, “তাহলে সেটা আগে করুন। বিজ্ঞপ্তি দিন। বাকিটা কোর্ট (Calcutta High Court) দেখে নেবে।” অর্থাৎ প্রশাসনিক দায় এড়িয়ে যাওয়া চলবে না।
পূর্ববর্তী শুনানিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেছিলেন, বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। তাই ভোট করানো যাচ্ছে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালত (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, যেখানে উপাচার্য রয়েছে, সেখানে ভোট কেন হচ্ছে না? অস্থায়ী উপাচার্যের ক্ষমতা না থাকলেও রাজ্যের তো বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধা নেই।
দশ বছরে একবারও ভোট নয়
জনস্বার্থ মামলা দায়েরকারী আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কোর্টে (Calcutta High Court) জানান, গত ১০ বছরেও রাজ্য সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি ছাত্র সংসদ ভোট নিয়ে। বরং উপাচার্য না থাকার অজুহাত দিচ্ছে। এই অবস্থায় ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলেই তাঁর অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ নিউটাউনে গরিবদের ‘ফ্ল্যাট দিচ্ছে রাজ্য সরকার’, কিভাবে পাবেন? জানুন সব কিছু
ইউনিয়ন রুম খুলতেও লাগবে অনুমতি
উল্লেখ্য, আগের এক আদেশে কোর্ট (Calcutta High Court) বলেছিল, যেখানে ছাত্র সংসদ নেই, সেখানে ইউনিয়ন রুম বন্ধ থাকবে। কোনও ছাত্র সংগঠন খোলার চেষ্টা করলে তা হবে বেআইনি।