বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি জমি দখল করে বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে বেসরকারি স্কুল ও বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তাই ওই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই মামলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সচিবের কাছে এবার রিপোর্ট চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম (TS Shivagnanam)।
অবৈধ স্কুল নির্মাণে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
জানা যাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার অন্তর্গত ছোট বাজার এলাকার একটি সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে স্কুল এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরী করেছেন শেখ ইমরান আলী নামে এক ব্যক্তি। আবেদনকারীর দাবি, অভিযুক্ত ইমরানের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
অভিযোগ ২০০৪ সাল থেকে স্কুল ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ওই সরকারি জমিতে। যদিও তার পরের বছরেই অর্থাৎ ২০০৫ সালে জেলা পরিষদ থেকে জমি লীজের কাগজপত্র তৈরি করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে আবেদনকারী মকবুল হোসেন আরটিআই করে জানতে পারেন জেলা পরিষদকে না জানিয়েই নকল লিজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহরে শীতলতম দিন! তবে রবি থেকেই বাড়বে তাপমাত্রা, বৃষ্টি নিয়ে বড় আপডেট আবহাওয়া দপ্তরের
জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত শেখ ইমরান আলীর নামে জমি দখল ছাড়াও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তার নামে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন মকবুল। ওই মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন।
২০০৫ সালে কিভাবে ওই লিজপত্র তৈরি করা হয়েছিল সচিবকে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই চুক্তিপত্রের আদৌ কোন গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা সেটা ওই রিপোর্টে জানাতে হবে। যদি গ্রহণযোগ্যতা থাকে তাহলেও সরকারি সম্পত্তি এভাবে বেসরকারি কোন সংস্থাকে লিজ দেওয়ার কোন আইন আছে কিনা সেটাও উল্লেখ করতে হবে ওই রিপোর্টে। জানা যাচ্ছে জেলা পরিষদের সচিবের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এই মামলায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।