বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাপ্য ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। সেখানে ঝুলে রয়েছে অগুনতি সরকারি কর্মীর ভাগ্য। এবার এই ডিএ আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন।
আচমকা কেন আদালতে (Calcutta High Court) ছুটলেন ভাস্কর?
মহার্ঘ ভাতার পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে নানান সময়ে সরব হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ড নিয়েও সুর চড়িয়েছিলেন তারা। ভাস্করের অভিযোগ, এই জন্যই বারবার তাঁর ও সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, রাজ্য প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। এখন আরও FIR হওয়ায় সেগুলি খারিজ করার আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভাস্কর (Bhaskar Ghosh)।
- মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট
ইতিমধ্যেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্করের মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামীকাল তথা মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার প্রতিবাদেও শামিল হয়েছিলেন ভাস্কর। হাইকোর্টের তরফ থেকে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পর মুখ খুলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষকদের রেহাই নেই! নারী নির্যাতন রুখতে আসছে ‘অপরাজিতা’, বিরাট পদক্ষেপ সরকারের
ডিএ আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (Sangrami Joutha Mancha) আহ্বায়ক বলেছিলেন, ‘রাজ্য সরকারের যে সকল উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা আছেন তাঁদের দ্বারা নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। সেদিক থেকে সিবিআই ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। তবে তারা কোনও রকম পক্ষ না নিয়ে সঠিক তদন্ত করুক, সেটাই চাই। সিবিআই আরও অনেক মামলায় তদন্ত করছে। সেই মামলাগুলির মতো এই ঘটনার তদন্তও যেন মাঝপথে না হারিয়ে যায়। অপরাধীরা কঠিন শাস্তি পাক’।
একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের (State Police) ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভাস্কর। দাবি করেছিলেন, রাজ্য পুলিশের মধ্যে দু’টি ভাগ রয়েছে। এর মধ্যে একটি ভাগে রয়েছেন উচ্চপদস্থ কর্তারা, যারা কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। কাটমানি শিল্প চালাচ্ছেন এবং দ্বিতীয়ভাগে রয়েছেন দুঃখ-কষ্টে থাকা কর্মীরা। তাঁরা দ্রুত, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির পক্ষে। এবার সেই ভাস্করই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন।
এর আগেও পুলিশের তরফ থেকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ককে গ্রেফতারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে সেবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে গ্রেফতারির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এবার আদালত কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই নজর সকলের।