হাইকোর্টে বড় জয় শ্রীলেখার, বয়কট মামলায় অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে নির্দেশ আদালতের

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতিবাদী স্বর চড়াতেই সামাজিক ভাবে বয়কট করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। তাঁর বাড়ির সামনে পোস্টারে ছয়লাপ হয়েছিল, যেখানে তাঁকে সামাজিক ভাবে বয়কট করার দাবি তোলা হয়েছিল। হেনস্থা করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra)। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমোদন দিয়েছিল হাইকোর্ট।

শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) মামলায় বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বৃহস্পতিবার শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) পাশেই দাঁড়াল হাইকোর্ট। নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় হাইকোর্ট শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) বাড়ির সামনে থেকে সমস্ত আপত্তিজনক পোস্টার, ব্যানার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আদেশ দিয়েছেন, শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) বাড়ির আশেপাশে কোনও বিতর্কিত বা অসম্মানজনক পোস্টার থাকলে তা পুলিশকেই সরিয়ে ফেলতে হবে।

Calcutta high court big decision on sreelekha mitra case

কী নির্দেশ দিল আদালত: হাইকোর্ট এও নির্দেশ দিয়েছে, শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) নিরাপত্তার বিষয়টাও স্থানীয় পুলিশকেই নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও আরও বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও যদি শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) বিরুদ্ধে কোনও কুরুচিকর মন্তব্য করা হয় তবে পুলিশকেই কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে এ বিষয়ে। আবারও ডিসেম্বর মাসে রয়েছে শ্রীলেখার মামলার শুনানি।

আরও পড়ুন : বাংলায় প্রথম বার, রাত পোহালেই রাজ্যে বিশেষ প্রিমিয়ার ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’এর! কোথায় কীভাবে দেখবেন?

মুখ খুললেন শ্রীলেখা: সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra) লিখেছেন, ‘২৪ এ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত ঘটনা ও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের বিষয় নিয়ে পুলিশকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে । এবং আমার বাড়ির বাইরে আসে পাশে যাতে কোনও অশোভনীয় পোস্টারিং না থাকে তা স্থানীয় পুলিশকে সুনিশ্চিত করার আদেশ দিল হাইকোর্ট’।

আরও পড়ুন : ‘আমাকে এই নরক থেকে নিয়ে যেতে পারতিস…’, যাদবপুরে ছাত্রী মৃত্যুর পর বিষ্ফোরক পোস্ট ‘বিশেষ বন্ধু’র

প্রসঙ্গত, আরজিকর কাণ্ডের পর এক বছর পূর্তিতে বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra)। সেবার একসঙ্গে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দল তথা কেন্দ্রকে বিঁধেছিলেন তিনি। এক বছর পরেও কেন তিলোত্তমার বাবা মা মেয়ের জন্য বিচার পেলেন না? প্রশ্ন তুলে সিবিআই এর ভূমিকা নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra)। তারপরেই তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। এরপরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শ্রীলেখা।