বাংলাহান্ট ডেস্ক : সেপ্টেম্বরে মুক্তির অপেক্ষায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’। কিন্তু টিজার প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছে এই ছবি। ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। সেই এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিচালক। সেই মামলায় এবার বড় স্বস্তি পেলেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বড় স্বস্তি পেলেন বিবেক
লেকটাউন থানাতে বিবেক (Vivek Agnihotri), স্ত্রী তথা নির্মাতা পল্লবী যোশী এবং অভিষেক শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। সেই এফআইআর খারিজ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিচালক এবং প্রযোজক। সোমবার সেই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট।
কী অভিযোগ ছবির বিরুদ্ধে: অভিযোগকারী বলেছিলেন, বেঙ্গল ফাইলস ছবিতে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যা অত্যন্ত বিতর্কিত। পাশাপাশি কিছু সাম্প্রদায়িক কথাবার্তাও তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে যা বাংলার সংষ্কৃতিতে আঘাত হানতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে (Calcutta High Court) দায়ের করা হয়েছিল মামলা। আগামী ২৬ শে অগাস্ট পর্যন্ত সেই এফআইআরের উপর জারি করা হয় স্থগিতাদেশ। আগামী ১৯ শে অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন : মমতাকে বিঁধে গান গাওয়ার অভিযোগ, বাড়িতে ঘন ঘন পুলিশি হানা, শিল্পী মণীন্দ্রের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন শুভেন্দু
ছবিটি কী বিষয়ে: জানা গিয়েছে, ১৯৮৪ সালে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দিল্লি ফাইলস তৈরি করছিলেন বিবেক (Vivek Agnihotri)। আবার এও শোনা যাচ্ছে, ২০২০ সালে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়েই নাকি ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক। তবে এই ছবির জন্যই বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে বিবেককে (Vivek Agnihotri)। সেকথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। পরিচালক জানিয়েছিলেন, দিল্লি ফাইলস ছবিতে বাংলার হিংসার ইতিহাস তুলে ধরতে বিগত ছয় মাস ধরেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : সাধারণ এক্সপ্রেসও এবার ছুটবে বন্দে ভারতের মতো, ৬০০ কিমি পেরিয়ে যাবে মাত্র ৪ ঘন্টায়!
বিবেকের (Vivek Agnihotri) কথায়, বাংলা এমন এক রাজ্য যা দুবার বিভক্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে একাধিক গণহত্যা হয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশে দ্বিজাতিতত্ত্ব নিয়েই বিবাদ ছিল। কিন্তু বাংলায় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল কমিউনিজম এবং নকশাল আদর্শ। বাংলার মতো ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক হিংসার সাক্ষী অন্য কোনো রাজ্য হয়নি।