বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবারের তুলনায় বৃষ্টি বেশি, এবারে ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছে বর্ষা। আর বর্ষাকাল মানেই আম জনতার ভোগান্তি। কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে টানা বৃষ্টি হলেই। যার জেরে বেহাল দশা শহরের রাস্তা-ঘাটের। এবারে কলকাতা ও শহরতলির রাস্তার দুর্দশা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে জনস্বার্থ মামলা | Calcutta High Court
মামলাকারীর অভিযোগ, কলকাতা, হাওড়া, দমদম, বিধাননগর, বেহালার বিস্তীর্ণ অংশে রাস্তা একপ্রকার অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ হয়েছে। সেই রাস্তা ভেঙে গেলেও নামমাত্র সংস্কার করে রাজ্য। বৃষ্টি হলেই শহরের বহু রাস্তায় জমে যায়। রাস্তার ধারে নিকাশি নালার ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন সেই জল দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা ভেঙে একাকার অবস্থা হয়।
এই কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রবল যানজটে বিপত্তি বাড়ে। বেহালা, ঠাকুরপুকুর থেকে ভিআইপি রোডে হলদিরাম মোড় বা বাগুইআটি, চিনার পার্ক, চিংড়িঘাটা, ইএম বাইপাসের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ ওঠে। এই সব বড় রাস্তা লাগোয়া সার্ভিস রোডগুলির বেহাল দশা সম্পর্কেও জানানো হয়।
গত সপ্তাহে এই মামলা ওঠে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে–র ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলাতেই রাজ্যকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, এ বিষয়ে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভাকে এ ব্যাপারে নিজেদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।

আরও পড়ুন: রবিবার তড়তড়িয়ে কমল সোনার দাম, কিছু দিনের মধ্যেই এক লক্ষ টাকার নিচে হলুদ ধাতু?
এই মামলার প্রেক্ষিতে কেএমডিএ-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মামলার শুনানি চলাকালীন মহারাষ্ট্রের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের উল্লেখ করে নাগরিকের সুস্থ ভাবে ভালো রাস্তায় হাঁটার অধিকার যে মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে, তারও উল্লেখ করা হয়। প্রাথমিক শুনানিতে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য ও পুরসভাকে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পর মামলাকারীকে পাল্টা বক্তব্য পেশ করবেন।













