পুজোয় বিরিয়ানি খাওয়ার প্ল্যান? জেনে নিন হাইকোর্টের রায়, নইলে পড়তে পারেন বিপাকে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরিয়ানি (Biriyani) হল বাঙালির ইমোশন। বিরিয়ানির আলু কতটা নরম, রাইস কতটা ঝুরঝুরে, মাংসের সাইজটা ছোট না বড় এই নিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দুর্গাপুজো শুরু না হতেও পুজোর ক’দিন কে কোথায় কী খাবেন তার প্ল্যানিং সেরে নিয়েছেন অনেকেই। এরই মাঝে বিরিয়ানি মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। শুক্রবার সেই মামলায় বড় রায়ও দিলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও।

ঘটনাটা ঠিক কি? সম্প্রতি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরসালান বিবিয়ানির (Arsalan Biriyani Verdict) মালিকরা। তাদের দায়ের করা মামলাতেই বিচাপতি রাও সাফ জানিয়ে দিলেন, এই ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ কোথাও ব্যবসা করতে পারবে না। ‘আরসালান’ ছাড়া অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান কোনও শব্দের আগে ও পরে আরসালান শব্দটির ব্যবহারের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারপতি।

আসলে মামলাকারী আরসালান সংস্থার অভিযোগ ছিল, আরসালানের নিজস্ব রেজিস্টার্ড লোগো এবং নামের ব্র্যান্ড রয়েছে। কিন্তু সেই নামের আগে ও পরে অন্য শব্দ ব্যবহার করে বেশ খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের ব্র্যান্ড ব্যবহার করছেন। এদিকে এর সঙ্গে মূল প্রতিষ্ঠানের কোনও সম্পর্কই নেই। সবটাই নকল। এবার সেসব ব্র্যান্ডের বিরিয়ানি খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয় তাহলে তার দায় কে নেবে! তা প্রতিষ্ঠানের নামও ক্ষতি করতে পারে। আদালতে জানান মামলাকারী সংস্থার আইনজীবী।

calcutta high court

আরও পড়ুন: সারপ্রাইস! রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ৬০০০ টাকা বোনাস, বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

আরসালানের তরফে এইরকম ১৪ টি প্রতিষ্ঠানকে মামলায় সংযুক্ত করা হয়। যদিও মামলাকারীর দাবির পাল্টা এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আইনজীবীদের দাবি, নামের আগে ও পরে ব্যবহৃত শব্দই প্রমাণ করে যে মামলাকারী আরসালানের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির নির্দেশ, ‘আরসালান’ ছাড়া অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান কোনও শব্দের আগে ও পরেও আর আরসালান শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না। পাশাপাশি কোনও খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আরসালানের মূল সংস্থা ছাড়া ওই নামে অন্য কোনও দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরিয়ানি সাধারণ মানুষের কাছে সরবরাহ করতে পারবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর