বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) অনুমোদিত ৭২টি বিচারপতি পদের মধ্যে বর্তমানে ২৭টি ফাঁকা রয়েছে। ছ’বছর পর এবার বিচারপতি পদে ৮ আইনজীবীর (Lawyers) নাম দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পাঠাল কলেজিয়াম। সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, আট জনার মধ্যে কত জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় সেই নিয়েই এখন জল্পনা প্রবল।
নিয়ম মতো, তিন রকম ভাবে হাইকোর্টে বিচারপতি পদে নিয়োগ হয়। প্রথমত লোয়ার জুডিশিয়ারি ও হায়ার জুডিশিয়ারি থেকে প্রোমোশন পেয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে আসা যায়। সেক্ষেত্রে নিয়োগ করা হতে পারে ২৪ জনকে। ৭২টির মধ্যে বাকি ৪৮টি পদে সরাসরি বার থেকে আইনজীবীদের নাম সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ হয়। সেই নিয়োগ করে কলেজিয়াম।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে নিম্ন আদালত থেকে পদোন্নতি হয়ে হওয়ার সব পদই প্রায় ফুল রয়েছে। খালি রয়েছে আইনজীবীদের নাম সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ। গত ছ’বছর ধরে এই নিয়ে টালবাহানা চলছেই। আইনজীবী থেকে বিচারপতি পদের জন্যে নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে হাইকোর্টের ভূমিকায় কার্যত বিরক্ত প্রবীণ আইনজীবীরাও।
ওদিকে শেষ বার হাইকোর্ট ৯ জন আইনজীবীদের নাম পাঠালেও তাদের মধ্যে মাত্র দু’টিতে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম শীলমোহর দিয়েছিল। তবে ২০১৮-র ডিসেম্বরে পাঠানো সেই দুই নামও এখনও ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বারংবার একই নাম সুপারিশ করলেও কেন্দ্র প্ৰতিবারই ফিরিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: তথ্য ফাঁসের দিন শেষ! এবার ফাইল চালাচালিতেও চলবে পুলিশি নজরদারি! নবান্ন নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত
জানা গিয়েছে সম্প্রতি যে ৮ আইনজীবীদের নাম সর্বোচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে, তারা ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে আইনজীবী হিসেবে কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসকে নিয়ে গড়া তিন সদস্যের কলেজিয়াম এই ৮ নাম পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার এদের মধ্যে কারা চূড়ান্ত হন সেটাই দেখার।