বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাধিক বৈঠক, তবে এখনও মেলেনি রফাসূত্র। চিংড়িঘাটা মেট্রো সম্প্রসারণ (Chingrighata metro work) নিয়ে জট অব্যাহত। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে কড়া নির্দেশ ছিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলা ফের আদালতে উঠলে রাজ্য সরকার অবশেষে জানাল, ফেব্রুয়ারি মাসে ওই এলাকায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করা যেতে পারে।
চিংড়িহাটা মেট্রোর জট এখনও অব্যাহত | Calcutta High Court
চিংড়িঘাটা মেট্রো সম্প্রসারণ জমিজটের কারণে আটকে আছে এবং রাজ্যের পক্ষ থেকে সহযোগিতা মিলছে না বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। জানিয়েছেন, যদি রাজ্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয়, তাহলে রাতে আট ঘণ্টা করে কাজ করলে মাত্র তিন দিনেই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এদিন রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) দাবি করে, তিনদিন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করেই কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৭ ডিসেম্বর সব পক্ষ দ্বিতীয় বৈঠক করে। সেই বৈঠকেও জট খোলেনি। এদিন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়ে। শুক্রবার এই মামলাতেই আরভিএনএলের আইনজীবী বলেন, মাত্র তিন দিন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কাজ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোনও এক সময় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।’ তার কথায়, মাত্র তিন দিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। রাজ্যের পাল্টা যুক্তি, “দশকের পর দশক ধরে মেট্রোর কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে RVNL-এর অসুবিধা কোথায়?”

আরও পড়ুন: ‘ভুল সিদ্ধান্ত’, মহুয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমার অনুমোদন খারিজ করল হাই কোর্ট, স্বস্তিতে তৃণমূল সাংসদ
এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছিলেন গত ১৭ ডিসেম্বরে বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন। এদিন অবশ্য তিনি জানান, বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। দুই পক্ষের সওয়াল শেষে হাইকোর্টের নির্দেশ, জানুয়ারি মাসে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ করা সম্ভব কি না, তা জানানো হোক। আগামী সোমবার রাজ্যকে ভাবনা-চিন্তা করে জানানোর কথা বলেছে হাইকোর্ট। সোমবারই মামলার পরবর্তী শুনানি।












