বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম (Justice T. S. Sivagnanam) বর্তমানে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে নিযুক্ত রয়েছেন। ২০২৩ সালের ১১ মে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের ৩৩ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। অন্যায়ের সঙ্গে আপস নয়, এজলাসে বসে আইনজীবীদেরও হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েন না বিচারপতি। কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে তোয়াক্কা না করে একের পর এক উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছেন (Calcutta High Court) বিচারপতি। যেই সন্দেশখালি নিয়ে বিগত তিন মাস থেকে উত্তপ্ত গোটা বাংলা, বুধবারই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই সন্দেশখালির সমস্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আজ আমরা সেই বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের জীবনী আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। (তথ্য Wikipedia এবং starsunfolded. Com দ্বারা সংগৃহীত)
বিচারপতি টিএস শিবগনাম ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান তামিলনাড়ুর চেন্নাই। বর্তমানে বিচারপতির বয়স ৬০ বছর। বিচারপতির মায়ের নাম নলিনী সুব্বিয়া। বাবার নাম ডাঃ টিএস সুব্বিয়া। বিচারপতির বৈবাহিক জীবনে বা তার স্ত্রী সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। বিচারপতি শিবজ্ঞানম চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে বি.এসসি করেন। এরপর মাদ্রাজ ল’ কলেজ থেকে বি.এল পাস করেন।
পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর শুরু কর্মজীবন। ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বার কাউন্সিল অব তামিলনাড়ুতে সদস্য হন বিচারপতি। এরপর ২০০৯ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টের অ্যাডিশনাল বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১১ সালে তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে আসেন। এরপর ২০২৩ সালে তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান।
আরও পড়ুন: অর্জুন ম্যাজিক! BJP-তে যোগ দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বউ, ভোটের আগেই ধস জোড়াফুলে
বিচারপতি এমন একটি সময় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন যখন একদিকে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন, অন্যদিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একাধিক দুর্নীতি মামলার শুনানি করছে হাইকোর্ট। কর্মজীবনে স্টারলাইট প্লান্ট, চিদম্বরমের আয়কর সংক্রান্ত মামলা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বিচারপতি ছিলেন তিনি। দিয়েছেন একাধিক উল্লেখযোগ্য রায়। ২০২৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি শিবজ্ঞানমের কর্মজীবনের মেয়াদ শেষ হবে। starsunfolded. Com দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সরকারি কর্মী হিসেবে মাসিক ২,৫০,০০০ টাকা বেতন পান কলকাতা হাইকোর্টের এই প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি আনুষঙ্গিক অনেক ভাতাও পেয়ে থাকেন।