বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাস দুয়েক আগে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম! সম্প্রতি এজলাসে বসে সেই ঘটনা শুনিয়েছেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার ছবি সহ বিকৃত মতব্য ছড়ানোয় গত বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শুক্রবার অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বেশ কিছু বক্তব্য পেশ করেন। তখনই মাস দুয়েক আগে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা জানান জাস্টিস শিবজ্ঞানম।
কী হয়েছিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে?
বর্তমানে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রযুক্তির অগ্রগতি হচ্ছে। আর সেই সঙ্গেই বাড়ছে সাইবার প্রতারণার (Cyber Fraud) সংখ্যা। কিছু অসাধু মানুষ এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই সাধারণ মানুষের সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে। মাস দুয়েক আগে সাইবার প্রতারণার শিকার হন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। গত শুক্রবার আদালতে বসেই সেই ঘটনা শোনান তিনি।
- কী বললেন জাস্টিস শিবজ্ঞানম?
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) বলেন, ‘মাস দুয়েক আগে আমার ছবি ব্যবহার করে অনলাইনে টাকা চাওয়া হচ্ছিল। নানান হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে সেই মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি কানে আসতেই আমি অভিযোগ জানাই। এরপর জানা যায়, রাজস্থানের একটি গ্রাম থেকে এই কাজ করা হয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ আচমকাই টাকা দেওয়া বন্ধ! কবে পাওয়া যাবে ট্যাব কেনার ১০,০০০ টাকা? রইল নয়া আপডেট
সম্প্রতি তাঁর ছেলের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান প্রধান বিচারপতি। সপ্তাহ দুয়েক আগে জাস্টিস শিবজ্ঞানমের (TS Sivagnanam) ছেলের সঙ্গে একই ধরণের প্রতারণার চেষ্টা করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমার ছেলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি কপি করে এই একই ধরণের প্রতারণা করার চেষ্টা করা হয়েছে’।
প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর ছেলে শুধু নন, সপ্তাহ দুয়েক আগে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করেও এই ধরণের প্রতারণার চেষ্টা করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতের তরফ থেকে এই বিষয়ে সাইবার সেলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার প্রতারণার সংখ্যা। কখনও ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে ফোন করে, কখনও আবার কারোর ছবি ব্যবহার করে এই ধরণের প্রতারণা করা হয়। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও মাস দুয়েক আগে ঘটেছে এমন ঘটনা।