বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের (State Government) বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছিল। মামলা দুটি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং কল্যানীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। ওই দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
কি নিয়ে মামলা? Calcutta High Court
বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে মুকুল রায়কে বসিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও অম্বিকা রায়। সেই দুটি মামলা থেকেই সরে দাঁড়াল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে শীঘ্রই ওই দুটি মামলার শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ ধার্য করা হবে। বঙ্গ রাজনীতিতে বহু চর্চিত নাম মুকুল রায়। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। যদিও সেই বছরই মন পরিবর্তন করে ছেলেকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে এসে পুরনো দল তৃণমূলে ফেরার ঘোষণা করেন তিনি। সরেন আনুষ্ঠানিক পর্বও।
এরপর মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। এদিকে রীতি মত পিএসি-র চেয়ারম্যান হন বিরোধী দলের বিধায়ক। এই থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে বিজেপি স্পিকারের কাছে মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজের আবেদন জানায়।
আরও পড়ুন: ঝুলছে ২৬০০০ জনের ভাগ্য! একজন যোগ্য প্রার্থীরও চাকরি গেলে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
একইসাথে পিএসি কমিটি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন অম্বিকা রায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন স্পিকার। স্পিকার জানিয়ে দেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন, অন্য দলে যোগ দেননি। শুধুমাত্র সৌজন্যের কারণে অন্য দলের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বলে সেই সময় জানানো হয়।