বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর ইস্যুতে জোড়া মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন তিনি। এরই মাঝে এবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বড়সড় ‘ধাক্কা’ খেল সন্দীপ। সন্দীপ ঘোষ নিজের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অবকাশকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এই বিষয়ে দ্রুত শুনানি যাতে হয় সেই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি সেনের এজলাসে এই মামলা ওঠে। তবে সন্দীপের আর্জি শুনতে চায়নি আদালত। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই মামলা শোনার মত গুরুত্ব নেই। প্রসঙ্গত, আরজি কর বিতর্কের মাঝেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল।
গত ৯ অগস্ট আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ৩১ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসকের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ। সেই সময় হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের পরই শিরোনামে চলে আসেন সন্দীপ। এরপর একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে থাকে। প্রথমে আরজি করের আর্থিক অনিয়মের মামলায় গ্রেফতার করা হয় সন্দীপকে। পরে আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
সিবিআই এর হাতে সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার দাবি নিয়ে সরব হয়েছিল চিকিৎসকমহলের একাংশ। সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে জানানো হয়েছিল আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে। পরিস্থিতি বুঝে এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষের ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেয় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।
আরও পড়ুন: আজ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত টানা বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে! কোন কোন জেলায় সতর্কতা? আবহাওয়ার খবর
যদিও তার আগে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে সন্দীপ ঘোষকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই নোটিসের কোনো উপযুক্ত জবাব সন্দীপ না দিলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়।