চাকরি গেল ২৬৯ জনের, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও হবে সিবিআই তদন্ত, সমন তৃণমূলের মানিককে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও চাকরি গেল ২৬৯ জনের। এবার জলঘোলা প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে। এবার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা উচ্চআদালত। আজ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। এই অভিযোগেই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সুপ্রিয় সরকার নামের একজন চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নাম ছিলনা মূল মেধা তালিকায়। অতিরিক্ত মেধা তালিকায় নথিভুক্ত ছিলেন তিনি। বেনিয়ম করে তাঁর নাম মূল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে বলেই অভিযোগ ওঠে। তা ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করেনি বলেও পিটিশনে আদালতকে জানানো হয়।

এদিন মোট ২৬৯ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা উচ্চআদালত। আদালত এও জানিয়েছে, ২৬৯ জন শিক্ষক যাঁরা এতদিন বেতন পেয়ে এসেছেন, তাঁদের সব বেতন ফিরিয়ে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তিরা যাতে কোনও ভাবেই স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকার ডিআইকে।

শুধু তাই নয়, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে সোমবার সিবিআই দফতরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআইকে বিচারপতি জানিয়েছেন, মানিকবাবু তদন্তে সহযোগিতা না করলে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ারও সম্পুর্ন স্বাধীনতা রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শিক্ষা সংসদের সভাপতি ছাড়াও সম্পাদক রত্না চক্রবর্তী বাগচিকেও সিবিআইয় দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চআদালত।

সোমবারের রায়ের পর ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টারকে এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য, নথি সংগ্রহের নির্দেশ দিল আদালত। বিচারপতির গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দেন, সংগৃহীত তথ্য নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এনআইসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশও দেন ।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর