বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কুর্মিদের রেল রোকো ও রাস্তা অবরোধ ঠেকাতে রাজ্যকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
তাঁদের ST তালিকাভুক্ত করতে হবে বলে দাবি কুর্মি সম্প্রদায়ের
মামলাকারীর অভিযোগ, আসন্ন শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ আশপাশের জেলায় ফের অবরোধের ডাক দিয়েছে কুর্মি সম্প্রদায়। তাঁদের দাবি একই। হল, তাঁদেরকে তফসিলি উপজাতিদের তালিকাভুক্ত করতে হবে। শুধু বাংলাই নয়, প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশাতেও এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই অবরোধের জেরে প্রতিদিন প্রায় ২১ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে রেল।
অবরোধ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)
প্রসঙ্গত, ২০২২ ও ২০২৩ সালেও একইভাবে লাগাতার রেল ও রাস্তা অবরোধ হয়েছিল, যার ফলে রেলের বিপুল ক্ষতি হয়। গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল টানা অবরোধ। আদালত (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানিয়েছে, এবারও অবরোধ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনকে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তবে এর মধ্যেই উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে কুর্মিদের নতুন হুঁশিয়ারি। দুর্গাপূজোর মুখে ফের আন্দোলনে নামছে তারা। গোটা বাংলা, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুর্মি সম্প্রদায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে কুর্মি আন্দোলনের জেরে কলকাতা কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। শহরের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছিল। এবারও ২০ সেপ্টেম্বর থেকে রেল ও রাস্তা অবরোধের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কুর্মিরা তাঁদের দাবিতে অনড়। সেটা হল, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি এবং তফসিলি উপজাতিভুক্ত হওয়া। পুরুলিয়া ও খড়গপুরের খেমাশুলি স্টেশনে গত বছর যেভাবে আন্দোলন হয়েছিল, এবারও তেমনই রেললাইন ও জাতীয় সড়ক অবরোধের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।