বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল আমলে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। ২০২২ সাল থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য। এখনও এই দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আদালতে চলছে মামলা। এরই মাঝে ২০২৫ সালে এসে বাম আমলে নিয়োগ নিয়ে উঠল প্রশ্ন। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই সংক্রান্ত মামলা উঠতেই এল বড় নির্দেশ।
২০০৯ সালের (বাম জমানায়) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতি সংক্রান্ত সেই মামলাতেই প্রাথমিকে চাকরিরত সব শিক্ষকের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলা উঠলে তার নির্দেশ, ওই সব কার্ড যাচাই করতে হবে।
নির্দেশ কার্যকর করার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২৭ জানুয়ারি শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় সিআইডির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিনই ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
ঠিক কি অভিযোগ? ২০০৯ সালের এক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী শিক্ষকতার চাকরি পান। অভিযোগ ওঠে, এদের মধ্যে অনেকেই চাকরির ক্ষেত্রে ‘ভুয়ো’ কার্ড ব্যবহার করেছেন। এরপর এই নিয়ে আদালতে দায়ের হয় মামলা। আগে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উত্তর ২৪ পরগনার ২৬ জনের চাকরিও বাতিল হয়।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে টাকা পাঠানো নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নবান্নের, কোন নয়া নির্দেশ জারি হল?
পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানায়, কেবল এক জেলা নয়, রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও এই ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলা হাইকোর্টে উঠলে বিচারপতি বসুর নির্দেশ, ২২টি জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলকে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত কার্ড যাচাই করে দেখতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। কার্ড জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত সিআইডির উপর দিয়েছে আদালত। তদন্তে বৃহত্তর জালিয়াতির ইঙ্গিত পেলে প্রয়োজনে সিট গঠন করারও আভাস দেন বিচারপতি। ২৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।