বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সপ্তাহেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলমের খোঁচায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬০০০ জন। এক ধাক্কায় এত সংখ্যক চাকরি বাতিলের সেই নজিরবিহীন ঘটনা নিয়ে শোরগোল রাজ্যে। এরই মাঝে ফের একবার বাতিল হল নিয়োগ (Recruitment Dismissed)। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ! আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অফিসার পদের নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়া রদ করল হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। পাশাপাশি শুক্রবার এই পদে কর্তব্যরত অফিসার মহেশ্বর মালোদাসের নিয়োগ বাতিল করেছেন বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অফিসার পদে নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই পদে নিয়োগের জন্য চাওয়া হয় স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর ও ১০ বছর কাজের। সেই পদের জন্য আবেদন করেন প্রায় ৫৬ জন প্রার্থী। এরপর তাদের মধ্যে থেকে দশ জনের একটি তালিকা তৈরি করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
১০ জন নির্বাচিত প্রার্থীর তালিকায় নাম ছিল মহেশ্বর মালোদাসের। মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে তাকে ওই পদে নিয়োগ করা হয়। ওই বছরই নিয়োগ হয়। তবে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ সামনে আসে। নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দুই চাকরিপ্রার্থী।
অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র চেয়ে পাঠালে সে সব জমা দেওয়া হয় আদালতে। এরপরই সমস্ত কিছু বিবেচনা করার পর অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া রদ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিল হয়েছে নিযুক্ত ব্যক্তির নিয়োগও।
আরও পড়ুন: ৫০ কিমি বেগে ঝড়! আজ দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় কালবৈশাখী? আবহাওয়ার খবর
আদালতের পর্যবেক্ষণ, যাকে নিযুক্ত করা হয়েছে তার এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উন্নীত হওয়ার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতাই নেই। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, গোটা প্রক্রিয়াই পক্ষপাতদুষ্ট, পক্ষপাতমূলক ও অস্বচ্ছ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ীই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার