বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড়। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন সেই মামলার শুনানির শুরুতেই ত্রুটি ধরা
পড়েছিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। আর এবার ডিভিশন বেঞ্চে প্রশ্নের মুখে অভিষেক।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। এই বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৩ অক্টোবর অনুসন্ধান এবং তদন্ত যাতে কোনও কারণে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে ED অধিকর্তাকে। বিচারপতির সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এদিন ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে বিচারপতি সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে আদালত। অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে বিচারপতি বলেন, “ইডির সামনে নথি দিতে সমস্যা কোথায়”।
আরও পড়ুন: স্কুলেই প্রধান শিক্ষককে দীর্ঘদিন অত্যাচার! ৩ তৃণমূল নেতার দাদাগিরি বন্ধ করতে যা করলেন বিচারপতি…
পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি সিনহার পর এবার ED-র ভূমিকায় সন্দেহ ডিভিশন বেঞ্চেরও। আদালতের মন্তব্য, “সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ দেখে মনে হচ্ছে ED নবীশের মতো আচরণ করছে। মনে হচ্ছে তদন্তের একটা অংশে পৌঁছতে চাইছে না। ”
এদিন বিচারপতি বলেন, “অর্থের মূল উৎস কী তা ইডিকেই খুঁজে বার করতে হবে।” ‘সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই’ মন্তব্য বিচারপতির। তবে এখানেই শেষ নয়। অভিষেকের মামলার শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ নিয়েও মন্তব্য করে ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ” সিঙ্গল বেঞ্চ অতি উৎসাহী হয়ে এই মামলায় কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। ” মন্তব্য হাইকোর্টের।
এদিন অভিষেকের আইনজীবী বলেন, ‘যে নথি চাওয়া হয়েছে, সেগুলি জমা দিতে ২ সপ্তাহ সময় চাই। ‘ এই কথা শুনে পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য নথি দেওয়ার জন্য চাইলে, আরও ২ সপ্তাহ সময় দেওয়া যেতে পারে। ১২ অক্টোবর যান’। সবশেষে অভিষেক মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল হাইকোর্ট।